পুরভোটে বহিরাগত তাণ্ডবে রক্তাক্ত হয়েছিল বিধাননগর। ছাপ্পা, বুথ জ্যাম থেকে ভোটারদের ওপর হামলা-- বাদ যায়নি কিছুই। আক্রান্ত হন এবিপি আনন্দ সহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি।
সেইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, বিধানসভা ভোটে যাতে আর দৌরাত্ম্য দেখাতে না পারে বহিরাগতরা, সেজন্য বিধাননগরে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ রুখতে সচেষ্ট পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, শনিবার সন্ধে থেকেই মাইকিং করে বহিরাগতদের বিধাননগর ছাড়তে বলা হয়েছে।
এলাকার হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলির কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরিচয়পত্র যাচাই না করে কাউকে থাকতে দেওয়া যাবে না। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিধাননগরে সমস্ত নির্মীয়মাণ বাড়ির কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশও জারি করা হয়েছে।
এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে ঠিকাশ্রমিকদের। বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি সদর নিসাদ পরভেজ বলেন, বহিরাগতদের তাণ্ডব ঠেকাতে আমরা বদ্ধপরিকর, বিধাননগরে জুড়ে নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে, চলছে তল্লাশি।
সোমবার ভোটের দিন বিধাননগরে মোতায়েন থাকবে রাজ্য পুলিশের ২২,০০০ কর্মী। পাশাপাশি থাকবে ৫১০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। শনিবার বিধাননগরে এসে পৌঁছেছে সেই ৫১ কোম্পানি বাহিনী। সুকান্তনগর, মহিষবাথান, ছয়নাভি এলাকায় এদিন রুটমার্চ করেন জওয়ানরা। তল্লাশি চালানো হয় বিধাননগর ও সংলগ্ন এলাকায়।
সোমবার, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা মোট ৬৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া শহরে ৭৫০০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ৩০০০ রাজ্য পুলিশ থাকবে। গ্রামীণ হাওড়ায় থাকবে ১৫২০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ৫০০০ হাজার রাজ্য পুলিশ।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১৩৭০০ জওয়ান ও ৫০০০ হাজার রাজ্য পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার বাকী এলাকায় ২৫৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৮০০০ রাজ্য পুলিশ থাকবে।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে দুই জেলাতেই শনিবার সন্ধে ৬টা থেকে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।