কলকাতা ও নয়াদিল্লি: রাজনাথ ও কারাটের ছবি দেখিয়ে বাম-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ তুলতে গিয়ে ঘোর অস্বস্তিতে তৃণমূল। ছবি নকল বলে দাবি বিজেপির। চাপের মুখে ছবি আসল নয় বলে মেনে নিয়ে ওয়েবসাইট থেকে সরাল তৃণমূলও। আগামীকাল ক্রাইম ব্র্যাঞ্চে যাচ্ছেন বলে জানালেন সিদ্ধার্থনাথ সিংহ।
যে তৃণমূল নারদ স্টিং কাণ্ডে বারবার জাল ভিডিও-র তত্ত্ব খাড়া করেছে, তাদের জাতীয় মুখপাত্রের দেখানো ছবিই এবার জাল বলে দাবি করল বিজেপি। চাপের মুখে তৃণমূলও স্বীকার করে নিল ছবিটি আসল নয়। ওয়েবসাইট থেকেও তড়িঘড়ি সরানো হল ছবি।
প্রকাশ কারাটের মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন রাজনাথ সিংহ! শনিবার দুপুরে এই ছবি দেখিয়ে বাম-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। কিন্তু, বিজেপির দাবি, তৃণমূল যে ছবি দেখিয়েছে, তা নকল। সেখানে রাজনাথ সিংহর সঙ্গে থাকা নরেন্দ্র মোদীর জায়গায় কারসাজি করে প্রকাশ কারাটের মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির দাবি অনুযায়ী, মোদী-রাজনাথের আসল ছবিটি ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরের। ওই দিন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানেই, মোদীর মিষ্টিমুখ করান রাজনাথ।

এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই তৃণমূলের তরফে ট্যুইটারে সাফাই দেওয়া হয়, সাংবাদিক বৈঠকে দু’টি ভিডিও ও ছ’টি ছবি দেখানো হয়। আমাদের রিসার্চ টিম যখন জানতে পারে যে, এর মধ্যে একটি ছবিতে কারসাজি করা ছিল, তখনই সেটি সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে তৃণমূল ওয়েবসাইট থেকে ছবি সরালেও, বিজেপি রবিবার এনিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছে। ছবি-বিতর্কে ডেরেক ও’ব্রায়েনের পদত্যাগের দাবি করেছে সিপিএম।
ঘটনার সূত্রপাত কংগ্রেস ও সিপিএমের তরফে তোলা মোদী-মমতা আঁতাঁতের অভিযোগ ঘিরে। শনিবার দিল্লিতে এই অভিযোগের স্বপক্ষে একটি ফুটেজ প্রকাশ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আর পি এন সিংহ। একই অভিযোগে সরব হয় সিপিএমও।
এরপরই জবাব দিতে আসরে নামে তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন কয়েকটি ছবি দেখান। তার মধ্যে একটি ছিল এই ছবিটি।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিতর্কের মুখে যেভাবে তৃণমূল কার্যত স্বীকার করে নিল যে এই ছবিটি আসল ছবি নয়, তাতে ভোটের মুখে তাদের বিড়ম্বনা বাড়ল। পাশাপাশি বিরোধীরা এই প্রশ্নও তুলছে, ছবি সত্যতা যাচাই না করেই কীভাবে তা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ফেলল তৃণমূল? এবং এতকিছুর পরও কেন তারা ক্ষমা চাইল না?