কলকাতা: কাল বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় জঙ্গলমহলের ১৮ আসনে ভোট। ভাগ্য পরীক্ষা ১১ জন মহিলা সহ ১৩৩ জন প্রার্থীর। ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কড়া নজর কমিশনের। ৬৭৫টি বুথে হাজির থেকে ভোটদান প্রক্রিয়ায় নজরদারি চালাবেন মাইক্রো অবজার্ভার। ওয়েব কাস্টিং ১৫৭টি বুথে।
আবার একটা ভোট। সোমবার ভোটের লাইনে দাঁড়াবে জঙ্গলমহলের ৩ জেলা -- বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর।
সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ১৮ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।
প্রথম দফায় জঙ্গলমহলের তিন জেলায় প্রার্থী ১১ জন মহিলা সহ ১৩৩ জন। তাঁদের ভাগ্য পরীক্ষা ৪০ লক্ষ ০৯ হাজার ১৭১জন ভোটারের হাতে। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ২০ লক্ষ ৪৭ হাজার ২০২ জন। মহিলা ভোটার ১৯ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৫৩। তৃতীয় লিঙ্গ ১৬ জন। চাকুরিরত ভোটার ৪ হাজার ৫০০। ৪৯৪৫ বুথে বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা।
৪৯৪৫টি বুথের মধ্যে ৬৭৫টিতে থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভার। ওয়েব কাস্টিং হবে ১৫৭টি বুথে। ক্যামেরার সাহায্যে ওই বুথগুলির ভোটদান প্রক্রিয়ার ওপর নজর থাকবে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক, সিইও দফতর এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
৭৯৯টি বুথে স্টিল ও ভিডিও ক্যামেরা থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে ১৯৮টি বুথে। ভোট ঠিক জায়গায় পড়ল কি না তা জানার জন্য থাকবে ৫৬২টি ভিভিপ্যাট।
আয়তন ও ভোটারের সংখ্যার বিচারে প্রথম দফায় সব থেকে বড় বিধানসভা কেন্দ্র পুরুলিয়ার বান্দোয়ান। আয়তন ১ হাজার ৭১ বর্গ কিলোমিটার। ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৭৫। ভোটার সংখ্যার বিচারে সব থেকে ছোট কেন্দ্র বাঁকুড়ার রাইপুর। ভোটার ২ লক্ষ, ৪ হাজার ২৩ জন। ভোট অবাধ ও শান্তি পূর্ণ করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন জানিয়েছে, ভোটচলাকালীন স্পর্শকাতর এলাকায় টহল দেবে ক্যামেরা লাগানো ১১টি গাড়ি। সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যে ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্র মাওবাদী উপদ্রুত, সেখানে প্রতি ভোটগ্রহণকেন্দ্রে নূন্যতম এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বাকি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে নূন্যতম হাফ সেকশন বাহিনী। ভোটকেন্দ্রের চারপাশে যে সব ফ্লাইং স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম এবং সেক্টর মোবাইল ভ্যান ঘুরবে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও।
কিন্তু কমিশনের এই সব পদক্ষেরের পরেও তা কতটা ফলপ্রসূ হয়, জঙ্গলমহলের মানুষ কতটা নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার, উত্তর মিলবে সোমবারই।