কলকাতা: টলিউডে এখন কেবল দলবদলের আর যোগদানের হিড়িক। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করেছেন যশ দাশগুপ্ত। আর টলিউডের হাওয়া এখন ভাসছে নুসরত যাহান ও যশ সম্পর্কের জল্পনা। তৃণমূল সাংসদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বিজেপি যোগ নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর গুঞ্জন।
বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েই যশ জানিয়েছিলেন, নুসরতের সঙ্গে তাঁর এবিষয়ে কথা হয়নি। তিনি কেবল মেসেজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন তৃণমূলে যোগদানের কথা। যশের দাবি, তিনি তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে আশীর্বাদও চেয়েছিলেন। যোগদানের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ দেব।
আজ ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন নুসরত। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আমি কেবল তৃণমূলকে নিয়েই কথা বলতে পারি কারণ আমি সেই দলের সাংসদ। যাঁরা অন্যান্য দলে যাচ্ছেন তাঁরা যাক। তবে আমরা কেবল নিজেদের কর্তব্য নিষ্ঠা ভরে পালন করব। যাঁরা দিদিকে ভালোবাসেন তাঁরা চিরকাল দিদির জন্যই ভোটে দাঁড়াবেন।’
অন্যদিকে আজ এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এবিষয়ে যশ বলেন, ‘নুসরত আমায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে। মিমি ও দেবও মেসেজ করেছিল। আর আমাদের বন্ধুত্ব ফিল্ম ইন্ডস্ট্রি থেকে। আমাদের ভাবধারা ও মতামত আলাদা হতেই পারে। কারও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে সেই বন্ধুত্বে কোনও প্রভাব পড়বে না।’
নুসরতের সঙ্গে একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন যশ। এতদিন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। সেই জায়গা থেকে বিজেপিতে কেন? যশ বলছেন, ‘দিদির সঙ্গে আমার অনেকবার দেখা হয়েছে। কিন্তু যে দলের সঙ্গে আমার মতাদর্শ মেলে সেই দলেই আমি যোগ দিয়েছি। আমার মনে হয়েছে এই দলটাই দেশের জন্য কিছু করতে পারবে। তবে এটা সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্ত। আমি কাউকে প্রভাবিত করতে চাইনা এটা নিয়ে।’
আজ টলিউডে রাজনীতি প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন যশ। বলেন, ‘আমি ও আমার দল চায় টলিউডে কোনও রঙ না থাকুক। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কোনও দলের সমর্থক হতেই পারেন কিন্তু সেটা কারোও কাজে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
গতকাল তৃণমূলে যোগদান করেছেন তৃণমূলের সদস্য ও টলিউডের আরেক অভিনেতা হিরণও। যোগদানের পর তিনি বলেন, ‘গত ৪৪ বছর ধরে বাংলা লক্ষীহীন হয়ে আছে। সেই লক্ষীকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’ সেইসঙ্গে হিরণ আরও বলেন, ‘অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। উনি আমার থেকেও বেশি পশ্চিমবঙ্গের খবর রাখেন।’