কলকাতা: হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কে একাধিক ফিক্সড ছাড়াও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন। নেই কোনও স্থাবর সম্পত্তি। ভবানীপুর উপনির্বাচনের সিপিএম প্রার্থীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩২ লক্ষ টাকার বেশি। তবে, রয়েছে প্রায় পৌনে চার লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক-ঋণ। আজকের আয়-ব্যয়ে সিপিএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। 


ভবানীপুর উপনির্বাচনে এবার তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। 


এবারই প্রথম প্রার্থী হলেন শ্রীজীব। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বাম-কংগ্রেস জোটের মনোনীত প্রার্থীর হয়ে এজেন্টের কাজ করেছিলেন। সরাসরি প্রার্থী না হলেও, অনেকদিন ধরেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।


কমিশনে দাখিল করা মনোনয়েনর সঙ্গে হলফনামায় শ্রীজীব সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরেছেন তা কিছুটা এরকম। হলফনামা অনুযায়ী, শ্রীজীবের হাতে নগদ রয়েছে ১০ হাজার টাকা। দুটি ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে রয়েছে প্রায় পৌনে ২ লক্ষ টাকা। এছাড়া, মায়ের সঙ্গে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যাতে রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। একটি পিপিএফ রয়েছে, যাতে রয়েছে ৫৯ হাজার টাকা।


একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। মোট জমানো প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডেও বিনিয়োগ করেছেন শ্রীজীব। হলফনামা অনুযায়ী, শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে প্রার্থীর বিনিয়োগের পরিমাণ আড়াই লক্ষ টাকার বেশি।এছাড়া রয়েছে একটি টাটা নিক্সন গাড়ি। যার মূল্য আনুমানিক পৌনে ৯ লক্ষ টাকা। 


অন্যদিকে, গাড়ির ঋণ বাবদ বকেয়া রয়েছে প্রায় ৩.৭১ লক্ষ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা। 


ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘিরে, চড়ছে রাজনৈতিক তরজার পারদ। ব্যাটলগ্রাউন্ড ভবানীপুরে উপনির্বাচনের লড়াই হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। ভবানীপুরের জন্য থাকবে ১৫ কোম্পানি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভবানীপুর উপনির্বাচনে পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন নির্মল কুমার আজাদ। জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের দায়িত্বে থাকবেন অতুল কাটিয়ার। এছাড়াও থাকবেন তিনজন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং ২ জন এক্সপেনডিচার পর্যবেক্ষক।