অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলল বিজেপি। নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে। 


ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের নির্বাচনী এজেন্ট অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলপ্রার্থী মনোনয়নপত্রে তাঁর বিরুদ্ধে যে সব মামলা রয়েছে তার উল্লেখ করেননি।


এর আগে নন্দীগ্রামেও বিধানসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিল বিজেপি।


গত সপ্তাহে, ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আলিপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন তৃণমূল প্রার্থী।


শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  সঙ্গে প্রস্তাবক হিসেবে ছিলেন ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী ইসমাতারা হাকিম এবং অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের স্বামী, প্রযোজক নিসপাল সিং রানে।


১৫ মিনিটের মধ্যেই নথি-পরীক্ষার পর্ব প্রক্রিয়া মিটিয়ে, মহকুমাশাসকের হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সকলকে অভিবাদন জানিয়ে মহকুমাশাসকের অফিস থেকে বেরিয়ে যান।


ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবার ত্রিমুখী লড়াই। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। ভবানীপুরে কংগ্রেস না লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছে সিপিএম।


গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ছিল ২৮ হাজার ৭১৯। কিন্তু, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টিতে লিড পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে, এই আটটা ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টাতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি।


এই প্রেক্ষাপটে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে, তৃণমূলকে কড়া টক্কর দেওয়ার আশায় কোমর বাঁধছে বিজেপি। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিগত ভোটগুলিতে ভবানীপুরে বিজেপির ভোট বাড়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিল অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক। কৌশলগতভাবে এবার এই কেন্দ্রে, বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। 


এদিকে ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে শুক্রবার  আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।  রাজ্যের ৫টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন বকেয়া থাকলেও, শুধু ভবানীপুর কেন্দ্রের নাম ঘোষণা করেছে কমিশন। 


এই প্রেক্ষাপটে কমিশনকে দেওয়া মুখ্যসচিবের চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জোড়া জনস্বার্থ মামলা হয়েছে হাইকোর্টে।