ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: জেলায় জেলায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কোথাও সপরিবারে পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন প্রার্থী ও তাঁদের প্রস্তাবকরা। কোথাও আবার বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে হুমকি, তাঁর দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। মনোনয়ন প্রত্যাহার-সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পথেও নামল বিজেপি। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্বেও শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাতার হিংসার অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। তবু ভোট-সন্ত্রাস পিছু ছাড়ছে না কেষ্টর জেলার বিরোধী প্রার্থীদের। ভোটের মুখে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের চাপ এড়াতে সপরিবারে সিউড়ির জেলা পার্টি অফিসে এসে উঠেছেন প্রায় দেড়শো জন বিজেপি প্রার্থী ও তাঁদের প্রস্তাবকরা।
সিউড়ি ২-এর পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ডোম বলেন, 'নমিনেশন ফাইলের আগে পর্যন্ত বারবার হুমকি দিয়েছে। এখানে আশ্রয় নেওয়ার পর এখান থেকে ফাইল করেছি।' একই কথা বলেছেন মহম্মদবাজারের কাপিষ্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী জ্যোৎস্না মাল বলেন, 'বিজেপি পার্টি অফিসে আছি বাঁচার জন্য। হুমকি চাপ টিএমসির। আমার বাড়িতে কেউ নেই।' ঠিকমতো ভোট হলে তৃণমূল হেরে যাবে বলেই তৃণমূল সন্ত্রাস করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত ‘আক্রান্ত’ বহু প্রার্থীকে দলের কার্যালয়ে থাকতেই নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তার নির্দেশ মত বীরভূমের সিউড়ির ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বিজেপির জেলা কার্যালয় ঠাঁই নিয়েছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় শ'দেড়েক প্রার্থী ও প্রস্তাবক। ২০ জুন সোমবার মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার শেষ দিনের পর প্রার্থীদের নিজের এলাকায় ফিরে লড়াই করার নির্দেশ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে রাজ্য সভাপতি ওই নির্দেশ দিলেও তা তাঁরা করতে পারবেন কি না তা নিয়ে চরম আতঙ্কে বীরভূমের বিজেপির প্রার্থীরা। তাদের বক্তব্য যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদেরই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হচ্ছে। পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে
বিজেপি বীরভূম সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, 'ব্লকে ব্লকে আমাদের প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল, মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য। তাই বাধ্য হয়ে জেলা পার্টি অফিসে তাদের রাখতে হয়েছে।'
তৃণমূলের দাবি:
বীরভূম তৃণমূল বিধায়ক ও কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, 'কারও কোনও ভয় নেই। বাড়িতে ফিরে যাক। এগুলো ভাড়া করা লোক। তাই পার্টি অফিসে রাখতে হয়েছে।'
আরও পড়ুন:কোঁকড়ানো চুল ধুয়ে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম অতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে?