সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের ডুঁড়কু গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দ্রাডি গ্রামের বাসিন্দা মিথিলা মাহাতো। কিছুদিন আগেই সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছিল তাঁর মর্মান্তিক কথা। বাড়িতে কাজ করে দিন গুজরান করা মিথিলার মাথা গোঁজার ঠাঁই এখন শৌচালয়। ভয়াবহ বৃষ্টিতে মাটিতে মিশে গিয়েছে তাঁর একমাত্র আশ্রয়। খড়ের চাল দেওয়া মাটির বাড়িটাও আর নেই। প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই মিথিলা থাকেন শৌচালয়ে।
জ্য়োতির্ময় সিং মাহাতো সোমবার পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের সুন্দরাডি গ্রামে ভোট প্রচারে যান। সেখানকার শৌচালয়েই এখন মিথিলা মাহাতোর বাস। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে ফের কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরলে তাঁর ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপি প্রার্থী। জ্য়োতির্ময় সিং মাহাতো প্রশ্ন তুলেছেন, কেন পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো রাজ্য়ের মন্ত্রী থাকাকালীনও কোনও কাজ করেননি? তিনি বলেন, 'তিনি কী করেছেন? এই এলাকার জেলা পরিষদের সদস্যা তথা জেলা পরিষদের সভাপতি তিনি কী করেছেন? এই তাদের উন্নয়ন? একজন মহিলাকে শৌচালয়ে বাস করতে হচ্ছে। মাননীয় মোদীজি গোটা দেশে বিকাশ করছেন, কেন এখানে এসে বিকাশ থেমে যাবে।'
জ্য়োতির্ময় আরও বলেন, 'আপনি ( মুখ্যমন্ত্রী ) পুরুলিয়ায় আসেন পর্যটকের মতো বড়ো বড়ো ভাষণ দিয়ে যান। এখানকার মানুষের অবস্থা আপনি জানেন না। জল জীবন মিশনের জন্য আপনাকে ১১হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সেই টাকা গেল কোথায়? এখনো গ্রামগুলোতে পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা নেই। যেখানে যাই সেখানেই শুনি সার্ভে হচ্ছে, কিসের সার্ভে? '
গত বছর ঝড়ে ভেঙে যায় মিথিলা মাহাতোর বাড়ি। পঞ্চায়েতে বারবার আবেদন করেও আবাস যোজনার ঘর পাননি বলে অভিযোগ। বাধ্য় হয়ে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে তৈরি শৌচালয়েই বাস করছেন তিনি।
এনিয়ে পাল্টা কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, ' কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো আছে কিন্তু সেই তালিকা অনুযায়ী তারা টাকা পাঠাচ্ছে না। তাই আজ মানুষকে এই দূরবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। '
আরও পড়ুন :
দুপুরে অসহ্য হবে গরম, কোন কোন জেলায় বেশি গরমের আশঙ্কা?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।