রণজিৎ সাউ, নিউ টাউন: 'প্রার্থী (Candidate Withdrawal) দিয়ে তুলে নেওয়া গণতন্ত্রের (Democracy) পরিপন্থী', ভাঙড়ের (Bhangor ISF MLA) আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqui)  প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। আরও বললেন, 'বিরোধীরা সকলে লড়ছে। তাঁদের কর্মীরা লড়াই করছেন। লোকের মনে আশা আছে। সাধারণ মানুষ সঙ্গে রয়েছেন। এখন পিছিয়ে গেলে চলবে কেন? আপনারা লড়ুন। তৃণমূলকে হারানোর দায়িত্ব মানুষের ওপর ছেড়ে দিন।'


কী বলেছিলেন নৌশাদ?
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে তুমুল অশান্তির সাক্ষী থেকেছে ভাঙড়। মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছে, চলেছে গুলি। একই দিনে, ISF, তৃণমূল কর্মী-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপরও হামলার অভিযোগ উঠেছে। লাঠি-বাঁশ হাতে দাপাদাপি করেছে দুষ্কৃতীরা। একের পর এক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর। গাড়িতে আগুন। হামলার মুখে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এই পরিস্থিতিতে, গত শুক্রবার অশান্ত ভাঙড়ে যান রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস। অন্য দিকে এই অশান্তি নিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরতে নবান্নে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui )। অশান্তি চলতে থাকলে, শেষ দিন অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আইএসএফ বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। গত কাল অর্থাৎ সোমবার শান্তির স্বার্থে পঞ্চায়েতের প্রার্থী প্রত্যাহারেও প্রস্তুত বলে বার্তা দেন নৌশাদ সিদ্দিকি। আইএসএফ বিধায়কের কথায়, "ভাঙড়ে শান্তির স্বার্থে পঞ্চায়েতের প্রার্থী প্রত্যাহারেও প্রস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী বললে প্রার্থী প্রত্যাহার নিয়েও ভাবব। চাই না কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ প্রাণ হারাক। আমি চাই ভাঙড়ের প্রত্যেক মানুষ নিরাপদে থাক, ভাঙড়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নিন। ভাঙড়ের শান্তির স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত, খুন, হানাহানি চাই না, এই রাজনীতি করতে আসিনি।''


জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিরোধীরা...
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভয়ঙ্কর অশান্তির সাক্ষী হয়েছিল এই রাজ্য। কিন্তু এবার মনোনয়ন পর্ব থেকেই ভয়ঙ্কর হিংসা চলেছে। বিষয়টি নিয়ে সরব বিরোধীরা। এ নিয়ে এদিনও তোপ দাগেন  দিলীপ ঘোষ। বলেন, 'মনোনয়ন করেই অনেকে বাড়িছাড়া। কোচবিহারে স্ক্রুটিনির পরেই অনেকে বাড়ি ছাড়া। অনেকে বাড়ি একবার ছেড়ে দিলে আর বাড়ি ঢুকতে পারবেন না। ভয়ংকর ভয়ের পরিবেশ। এই পরিবেশ তৈরি করে জিততে চাইছে তৃণমূল।'