কলকাতা : এবার পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বিজেপি নেতা তাপস রায়। এবার রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তিনি। বললেন, 'বেশ কিছু পুলিশ আধিকারিক তৃণমূলের দুর্বৃত্তদের থেকে ভয়ঙ্কর'। 


যুদ্ধং দেহি মেজাজে তাপস 


এককালে তৃণমূল নেতা অধুনা বিজেপি নেতা ও প্রার্থী যুদ্ধং দেহি মেজাজে বললেন, 'বিনা রাজনৈতিক যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী'। তাপসের অভিযোগ, বহু পুলিশকর্মী ও আধিকারিক তৃণমূলের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখায়। 'পুলিশের প্রথম দায়বদ্ধতা তৃণমূলের প্রতি হতে পারে না' মন্তব্য তাপসের। 'আমার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছে, বসে পড়ছে, কিছু করছে না পুলিশ! ব্যবস্থা না নিলে আমি সেই পুলিশ অফিসারদের নাম প্রকাশ করে দেব' বললেন তিনি।  


ঘটনার সূত্রপাত


ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। মানিকতলায় তাপস রায় যান প্রচারে। সেখানে বড় মাপের অশান্তি বেঁধে যায়।  মানিকতলা ব্রিজের কাছে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়ে বাধা পান বলে অভিযোগ তাঁর। এদিন হুডখোলা জিপে প্রচার শুরু করেন তিনি।  কিন্তু মানিকতলা গণতন্ত্র বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। কলকাতা উত্তরের লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে ঘিরে তারা দাবি তোলেন, মানিকতলায় উপনির্বাচন হোক। তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া, কালো পতাকা দেখানো থেকে শুরু করে তাপসের গাড়ির সামনে  শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে  বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মানিকতলা থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছলেও তাপসের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে। আর এর পিছনে আছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। 


কলকাতা উত্তরের লড়াই


২০০৯ সাল থেকে কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্র টানা তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তিনবারই জিতেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, দিন কয়েক আগেও তৃণমূলে থাকাকালীন তাপস রায় ও কুণাল ঘোষ একযোগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তারপর তিনি নানারকম কারণ দর্শিয়ে তৃণমূল ছাড়েন ও তারপর বিজেপিতে গিয়ে কলকাতা উত্তর থেকে সেই সুদীপের বিরুদ্ধেই নেমেছেন লড়াইয়ের ময়দানে।  ১ জুন, শেষ দফায় ভোট হবে কলকাতা উত্তরে।                          


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।