নয়াদিল্লি: রাজ্য়সভা নির্বাচনে গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে একাধিক জায়গায়। সেই নিয়ে কাটাছেঁড়ার মধ্যেই রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেল BJP নেতৃত্বাধীন NDA শিবির। সদ্য সমাপ্ত রাজ্যসভা নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে আর মাত্র তিনটি আসন প্রয়োজন তাদের। BJP-র আসনসংখ্যাই এই মুহূর্তে ৯৭, ১০০-র কাছাকাছি। (Rajya Sabha Elections 2024) অর্থাৎ রাজ্যসভাতেও কোণঠাসা হওয়ার পথে বিরোধী শিবির I.N.D.I.A.


সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের ৫৬টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন হয়, তাতে BJP একাই ৩০টি আসনে জয়ী হয়েছে। হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির বিধায়কদের ভাঙিয়ে তারা দু'টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। এর ফলে, সংসদের উচ্চকক্ষে BJP নেতৃত্বাধীন NDA সরকারের আসনসংখ্যা বেড়ে ১১৮ হয়ে গিয়েছে। (NDA in Rajya Sabha)


রাজ্যসভার ২৪৫ আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ১২৩ আসন পাওয়া জরুরি। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যসভার পাঁচটি আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে চারটি জম্মু ও কাশ্মীরের, যেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন তলায় বিধানসভা কার্যকর নেই। মনোনীত সদস্যের একটি আসনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে রাজ্যসভার মোট আসনসংখ্যা ২৪০। সেই অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১২১, যে লক্ষ্যে পৌঁছতে আর মাত্র তিনটি আসন প্রয়োজন NDA-র। 


আরও পড়ুন: PM Surya Ghar: খরচের উপর মিলবে ভর্তুকি, বিনামূল্যে সৌরশক্তি ১ কোটি পরিবারকে, সায় 'প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘরে'


লোকসভায় এমনিতেই একচ্ছত্র আধিপত্য BJP-র। কিন্তু রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় কিছু বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে ভাবতে হতো কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। তিন তালাক বিলও রাজ্যসভাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল বিরোধীদের আপত্তিতে। ভূমি সংস্কার বিলের ক্ষেত্রেও আপত্তি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। আজও ভূমি সংস্কার বিল পাস করাতে পারেনি কেন্দ্র, সেটি পুনরায় উত্থাপিতও করা হয়নি। তবে ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিন তালাক বিল পাস করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র।


তবে রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সংরক্ষিত অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিল প্রত্যাহারের প্রস্তাব, দিল্লি সার্ভিস বিল-সহ আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিলে পাস করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল, অন্ধ্রপ্রদেশের YSR কংগ্রেস সেক্ষেত্রে BJP-র সাহায্য়ে এগিয়ে আসে। এই আবহে রাজ্যসভাতেও যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় NDA শিবির, তাহলে দেশের সংসদে আর মুখ খোলার জায়গাতেই থাকবে না বিরোধী শিবির I.N.D.I.A. আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে তারা।