কলকাতা: রাজভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের দিনই দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে বিরোধী দলনেতা নির্বাচনে বিজেপির বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বয়সজনিত কারণে বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে নেই, দাবি মুকুল রায়ের। লড়াকু নেতাকেই বিধানসভায় বিরোধী দলের মুখ করা হবে জানালেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কে হবেন বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা? তা নির্বাচন করতে ২ জন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ছাড়াও বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবকেও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডারা সিদ্ধান্ত নিয়েই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করতে রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ভূপেন্দ্র যাদবকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এদিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছে দলের নবনির্বাচিত ৭৭ জন বিধায়ককে। বৈঠকে উপস্থিত আছেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্যের শীর্ষনেতারা। সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা ঠিক করার বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত বিধায়কদের কাছ থেকেও মতামত নেওয়া হবে।
বিধানসভা ভোটের আগে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী এসে বাংলায় জনসভা করেছেন। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে টার্গেট ছিল ২০০। কিন্তু দু অঙ্কও পেরোতে পারেননি গেরুয়া শিবির। ফল ঘোষণার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজ্যে একাধিক সংঘর্ষের অভিযোগ সামনে এসেছে। গত সপ্তাহে রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ‘আক্রান্তদের’ সঙ্গে দেখাও করতে যান তিনি। শুধু তাই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার পর্যবেক্ষণ করতে রাজ্যে পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় দলকেও।
এদিকে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য। ভোটে ভরাডুবির পর, প্রকাশ্যে বিজেপির অন্দরে অন্তর্কলহ। দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনায় মুখর তথাগত রায়। কখনও নিজের দলের তারকা প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। বিজেপি তারকা প্রার্থী থেকে বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করেন তিনি। ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরই এই ধারা অব্যাহত। আর তাতে দলের অন্দরেও বেড়েছে চাপানউতোর।