কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে প্রচারপর্বের একেবারে শুরু থেকে বিজেপি-র দাবি 'ইস বার দোশো পার'। দুশোর বেশি আসন পেরোনোর সেই দাবি থেকে এক্সিট পোলের পরও সরছে না গেরুয়া শিবির। সি ভোটার সহ দেশের একাধিক সেরা সংস্থা এক্সিট পোল প্রকাশ করেছে আটদফার ভোটপর্ব মিটতেই। বেশিরভাগ সমীক্ষারই ইঙ্গিত, আসন-সংখ্যা কমলেও তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসেরই। বাংলার বিধান ঠিক কী সেটা জানতে অবশ্য অপেক্ষা করতেই হবে আরও কয়েক ঘণ্টা। রবিবার ইভিএম খুললেই প্রকাশ হয়ে যাবে সবকিছু। 


ফলাফলের আগে এক্সিট পোল তথা বুথফেরত সমীক্ষাকে ফলাফলের ইঙ্গিত বলে মনে করেন অনেকেই। দ্বিমত, সমালোচনাও অনেক। এই সমীক্ষাকে ধ্রুবসত্য মনে করারও কোনও কারণ নেই। আর বিজেপি শিবিরেরও বক্তব্যও তেমনটাই। তাদের সাফ দাবি, ব্যাটলগ্রাউন্ড বঙ্গে এবার তাদের ২০০-র বেশি আসনজয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। প্রত্যয়ী বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করে আসল পরিবর্তন হচ্ছেই।


বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, 'এক্সিট পোলে যাই ফলাফল দেখাক না কেন, পশ্চিমবঙ্গে ২০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। ২০১৯ লোকসভা ভোটের সময় কেউ বলেনি বিজেপি ১৮টি আসন পাবে, তবে ফলাফল বেরোনোর পর সবাই চমকে গিয়েছিলেন। এবারও ২ মে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করুন। সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।'


বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গোপাল কৃষ্ণ অগরওয়াল সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, 'এক্সিট পোলে সঠিক প্রতিফলন হয়নি। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যেভাবে পরিবর্তনের হাওয়া বয়েছে, যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমাগত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিরোধ জারি রেখে বঙ্গের জনগণকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলো থেকে বঞ্চিত করেছেন, যেভাবে তোষণের রাজনীতি করেছেন, তাতে উনি যে এবারের ভোটে বাজেভাবে হারবেন তা বলাই যায়। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।'


(কী বলছে বিভিন্ন এক্সিট পোলের ফলাফল- পড়ুন বিস্তারিত


নবান্ন নীল-সাদাই! তৃণমূলের ফেরার ইঙ্গিত বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষায়, একসঙ্গে রইল সমস্ত এক্সিট পোল)


এদিকে, এক্সিট পোল প্রসঙ্গে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেছেন, 'প্রত্যাশিত গতিপথেই এগিয়েছে এক্সিট পোলের ফলাফল।' একাধিক বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, খুব বেশি আসন জিততে না পেরে বঙ্গে তৃতীয় শক্তি হতে চলেছে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চার জোট।