নয়াদিল্লি: একদিকে সি আর পাটিল, অন্যদিকে ভোলানাথ। দুজনেই বিজেপির হয়ে লোকসভা ভোটে লড়েছিলেন, জিতেছেনও দুজনেই। কিন্তু ফারাক গড়ে দিয়েছে তাঁদের জয়ের ব্যবধান। চলুন, সেটাই এবার দেখে নেওয়া যাক।

দুবারের সাংসদ সি আর পাটিল লোকসভা ভোটে সবথেকে বড় ব্যবধানে জয়ের একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছেন, গুজরাতের নভসারিতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি হারিয়েছেন ৬.৮৯ লাখের বেশি ভোটে। এ বছরের ভোটে এটাই সবথেকে বড় ব্যবধানে জয়। এর আগে সব থেকে বড় জয় পান ২০১৪-র অক্টোবরে, মহারাষ্ট্রের বীড়ে উপনির্বাচনে। বিজেপির গোপীনাথ মুন্ডে প্রয়াত হওয়ায় ওখান থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়ান তাঁর মেয়ে প্রীতম মুন্ডে। ৬.৯৬ লাখ ভোটে তিনি হারিয়ে দেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে।

এবার চলুন হরিয়ানায়। কার্নাল লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছেন বিজেপির সঞ্জয় ভাটিয়া। ৬.৫৬ লাখে জিতেছেন তিনি। তাঁর সহকর্মী কৃষণ লাল আবার ফরিদাবাদ থেকে জিতেছেন ৬.৩৮ লাখ ভোটে। গুজরাতের গাঁধীনগর থেকে এই প্রথম ভোটে দাঁড়ান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, তিনি জিতেছেন ৫.৫৭ লাখ ভোটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী থেকে জয়ের ব্যবধান ৪.৭৯ লাখ।

এবার দেখে নেওয়া যাক উল্টো দিকটা। উত্তর প্রদেশের মছলিশহর থেকে বিজেপির ভোলানাথ জিতেছেন মাত্র ১৮১ ভোটে, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বসপার ত্রিভুবন রামকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হারিয়েছেন তিনি। অথচ গত লোকসভা নির্বাচনে ১.৭২ লাখ ভোটে এই আসন জেতেন বিজেপিরই রাম চরিত্র নিষাদ। লাক্ষাদ্বীপে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির মহম্মদ ফয়জল পি পি জিতেছেন ৮২৩ ভোটে, তিনি হারিয়েছেন কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী হামদুল্লা সইদকে। পশ্চিমবঙ্গেও আরামবাগ থেকে তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার (আফরিন আলি) বিজেপির তপনকুমার রায়কে হারিয়েছেন মাত্র ১.১৪২ ভোটে।