রাজর্ষি দত্তগুপ্ত ও সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) পর পুনর্নির্বাচনের (Repoll) আগের দিনও রক্তপাত, এবার ঘটনা নদিয়ার (Nadia Shootout) নাকাশিপাড়ায়। প্রাথমিক ভাবে খবর, তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে গুলি চলেছে। জখম এক সিপিএম কর্মী (CPM Worker Injured)। গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে।


যা জানা গেল...
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়ার এদিনের ঘটনায় জখম সিপিএম কর্মীর নাম সাজ্জাদ মণ্ডল। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে ১৬ জনের প্রাণ গিয়েছে রাজ্যে। ব্যাপক অশান্তি, ছাপ্পা ভোট এবং ব্যালট বাক্স নষ্টের অভিযোগও এসেছে ভুরি ভুরি। এই প্রেক্ষিতে আগামীকাল সাতশোর কাছাকাছি বুথে পুনর্নির্বাচন হতে চলেছে বলে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে। কিন্তু তার আগের দিন রাতেও হিংসার ছবিটা বদলাল না। ফের সংঘর্ষ, ফের গুলি ও ফের রক্তপাত, গত মাসখানেক ধরে রক্তরাতের যে ধারা দেখে চলেছে বাংলা, তা জারি থাকল রবিবাসরীয় সন্ধ্যাতেও। আপাতত যা জানা গেল, তাতে আজ যেখানে সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে গত কাল কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে সূত্রের খবর, এখানে সিপিএমের যিনি প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর একটা জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয় দলীয় কর্মীদের। পাশাপাশি, গত কাল ভোট মেটার পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেখানে ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছিল বলে অভিযোগ। বোমা-গুলি চলতে শুরু করে। সেই সংঘর্ষের জেরেই জখম হন সাজ্জাদ মণ্ডল, তাঁকে বেথুয়াডহরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিপিএমের বক্তব্য, বিরোধী প্রার্থী জিতে জেতে পারে আশঙ্কা থেকেই এই তাণ্ডব শুরু করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। 


দিকে দিকে অশান্তি... 
ভোট মিটলেও অশান্তির আবহ যে এখনও উধাও হয়নি, তার প্রমাণ শুধু নদিয়ার নাকাশিপাড়া নয়। রবিবার সকাল থেকেই এই ধরনের একাধিক খবর এসেছে। যেমন, তমলুকেক নাইকুড়ি হাইস্কুলে স্ট্রংরুমে ব্যালট বাক্সে কারচুপির অভিযোগে তমলুক শহর তৃণমূল সভাপতির ওপর চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল চঞ্চল খাড়ার। তৃণমূল নেতার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি তাঁকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজে করা হয় পরে। বিক্ষোভে হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় বিজেপির (BJP Road Block) পথ অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে এদিন রামপুরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ও পরে রামপুর-চাকুলিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, গত কাল রাতে একের পর এক বুথ দখল করেছে তৃণমূল। এসব যখন চলছে, তখন কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ প্রশাসন, আরও অভিযোগ বিজেপির। 


আরও পড়ুন:নির্দল প্রার্থীর বাড়ির সামনে বন্দুক হাতে দাপাদাপি, ব্যাপক বোমাবাজি সালারে