কলকাতা: সি ভোটার এক্সিট পোলে দেখা যাচ্ছে, কোচবিহার জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে যেতেও পারে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তার ভিত্তিতে এক্সিট পোলে  দেখা যাচ্ছে, কোচবিহারে বিজেপির দখলে যেতে পারে ১৮-২২টি জেলা পরিষদ আসন। অন্যদিকে তৃণমূলের দখলে যেতে পারে ১১-১৭ টি জেলা পরিষদ আসন। কংগ্রেস ও বামের দখলে যেতে পারে ০ থেকে ১ টি আসন। 


গতবারের পঞ্চায়েত ভোটে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ভোটে কোচবিহারের মোট ৩৩টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ৩২টিতেই জিতেছিল তৃণমূল। এবারের সি ভোটারের এক্সিট পোল যদি এরকমই হয় তাহলে গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের যে দাপট ছিল, সেটা কার্যত বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে। অবশ্য গত লোকসভা ভোট থেকেই ওই রাজ্যে রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। 


ভোটের আগে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। সেই সমীক্ষাও দেখিয়েছিল এবিপি আনন্দ। সেখানে কী উঠে এসেছিল? ওপিনিয়ন পোলে উঠে এসেছিল জেলা পরিষদে (Zilla Parishad) - কোচবিহারে মোট আসন ৩৪ টি। যেখানে বিজেপি পেতে পারে ১৫ থেকে ১৯ টি আসন। তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ১৩ থেকে ১৯ টি আসন। কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ১ টি আসন।

জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।


আরও পড়ুন: পুরুলিয়া এবং মুর্শিদাবাদে দৌড়ে এগিয়ে তৃণমূল, বলছে সি-ভোটার সমীক্ষা