কলকাতা: শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনও রক্তস্নাতই থেকেছে। শনিবার ভোটগ্রহণের দিন সকাল থেকে দফায় দফায় হিংসা, অশান্তি এবং প্রাণহানির ঘটনা সামনে এনেছে। সেই আবহেই সি ভোটারের (Cvoter Exit Poll 2023) বুথফেরত সমীক্ষা সামনে এল। তাতে পুরুলিয়া (Purulia Exit Poll) এবং মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Exit Poll) জেলায় কে কোন জায়গায় থাকতে পারে, সেই সম্পর্কে মিলল ধারণা। (Cvoter Exit Poll 2023)
সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৪৫। এর মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ২২ থেকে ৩২টি আসনে। বিজেপি পেতে পারে ১০ থেকে ১৬টি আসন। বাম-কংগ্রেস ০ থেকে ৪টি আসন পেতে পারে।
এর আগে, ২০১৮ সালে পুরুলিয়ার মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩৮। সেবার তৃণমূল জয় পেয়েছিল ২৬টি আসনে। বিজেপি ন'টি আসন পেয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল তিনটি আসন। খাতা খুলতে পারেনি সিপিএম। এবার পুনর্বিন্যাসের পর পুরুলিয়ার আসনসংখ্যা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪৫ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, জনসংখ্যাবৃদ্ধির নিরিখে আসনসংখ্যাবৃদ্ধির কথা জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
একই ভাবে, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ৭৮। সেখানে তৃণমূল পেতে পারে ৩৯-৪৯টি আসন। বিজেপি ০ থেকে ৪টি আাসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে ঢুকতে পারে ২৬-৩৬টি আাসন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সম্ভাব্য় ফলাফলের একটা আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করেছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। আজ অর্থাৎ ভোটের দিন ২০টি জেলা পরিষদের ১৩ হাজার ২৮৯ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। বিকেল ৪টে পর্যন্ত করা সমীক্ষায় যা উঠেছে এসেছে, তার ভিত্তিতেই সার্ভের ফলাফল তুলে ধরেছে তারা।
এই এক্সিট পোলে মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস পাঁচ শতাংশ। কিন্তু ওপিনিয়ন পোল হোক কিংবা এক্সিট পোল...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। এই এক্সিট পোলের সঙ্গে এবিপি আনন্দর এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আর মানুষ প্রকৃতভাবে তার মতামত দিতে পারল কি পারল না, তার উত্তর কি এই ছবিগুলোই নয়? সেই বিতর্ক কিন্তু রয়েই গেল।
এর আগে, ২০১৮ সালে মুর্শিদাবাদের মোট আসনসংখ্যা ছিল ৭০। সেবার তৃণমূল সেখানকার ৬৯টি আসনেই জয়ী হয়। কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র একটি আসন। সিপিএম এবং বিজেপি সেখানে খাতাই খুলতে পারেনি। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেখানেও আসনের পুনর্বিন্যাস হয়। ফলে আসনসংখ্যা বেড়ে ৭০ থেকে হয়েছে ৭৮।