কলকাতা: তুমুল অশান্তি ও হিংসার পর শেষ হল পঞ্চায়েত ভোট  (Panchayat Election 2023)। কার দখলে যাবে বাংলার পঞ্চায়েত? ফল জানা যাবে ১১ জুলাই। তবে তার আগে, বুথফেরত সমীক্ষা ( C Voter Exit Poll) থেকে গ্রামবাংলার জনমত বোঝার চেষ্টা করল বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা সি ভোটার। এদিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত যে রকম ভোট হয়েছে, তার ভিত্তিতে সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas Zilla Parishad) মোট ৮৫টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ৫৯ থেকে ৬৯ টি আসন পেতে পারে তৃণমূল। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১৪ থেকে ২০টি। বাম-আইএসএফ ও কংগ্রেসের জোটের ভাগ্যে আসতে পারে ১-৫টি আসন। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে প্রত্যেক সমীক্ষার মতোই এই বুথফেরত সমীক্ষাও ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। কোনও ক্ষেত্রে ফলাফল মিলতে পারে, কোনও ক্ষেত্রে সমীক্ষা রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তব ফলাফলের কোনও মিল নাও থাকতে পারে। কারণ গণতন্ত্রে শেষ কথা বলেন মানুষই।     


বিশদ...
গত বার অর্থাৎ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে মোট আসনসংখ্যা ছিল ৮১। সে বার বিরোধী শিবির কোনও খাতাই খুলতে পারেনি। সব কটি আসনই জিতে নিয়েছিল তৃণমূল। বস্তুত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা বরাবরই রাজ্য়ে শাসকদলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। কিন্তু শেষ বিধানসভা নির্বাচনে এই দক্ষিণ ২৪ পরগনারই ভাঙড় থেকে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকি জিতে আসার পর ছবিটা কিছুটা হলেও বদলাতে পারে বলে ধারণা ছিল বিশেষজ্ঞদের। এবার পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই যে কটি এলাকা অশান্তি ও হিংসার জন্য বার বার শিরোনামে এসেছে, তার অন্যতম ছিল ভাঙড়। আইএসএফ ও তৃণমূল সংঘর্ষে সেখানে প্রাণহানি রোখা যায়নি। এদিনও একাধিক অশান্তির ঘটনা শোনা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলা থেকে। শেষমেশ কী হবে, তৃণমূল আদৌ নিজের ঘাঁটি ধরে রাখতে পারবে কিনা তা অবশ্য় জানা যাবে ১১ জুলাই।   


সমীক্ষার খুঁটিনাটি...
আজ অর্থাৎ ভোটের দিন ২০টি জেলা পরিষদের ১৩ হাজার ২৮৯ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। বিকেল ৪টে পর্যন্ত করা সমীক্ষায় যা উঠেছে এসেছে, তার ভিত্তিতেই সার্ভের ফলাফল তুলে ধরেছে তারা। এই বুথফেরত সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস পাঁচ শতাংশ। কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক বা বুথফেরত সমীক্ষা, গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছেন। আর সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছেন। এই বুথফেরত সমীক্ষার সঙ্গে এবিপি আনন্দর এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। 


আরও পড়ুন:লাশের সারি বাংলায় ! ৬০ নয় মাত্র ১৫ হাজার বুথে হাজির ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানালেন রাজীব সিনহা