কলকাতা: তুমুল অশান্তি ও হিংসার পর শেষ হল পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। কার দখলে যাবে বাংলার পঞ্চায়েত? ফল জানা যাবে ১১ জুলাই। তবে তার আগে, বুথফেরত সমীক্ষা (Exit Poll 2023) থেকে গ্রামবাংলার জনমত বোঝার চেষ্টা করল বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা সি ভোটার ( C Voter)। এদিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত যে রকম ভোট হয়েছে, তার ভিত্তিতে সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, আলিপুরদুয়ারের মোট ১৮টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ৪ থেকে ৮ টি আসন পেতে পারে তৃণমূল। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১০ থেকে ১৪ টি। বাম ও কংগ্রেসের জোটের ভাগ্যে আসতে পারে ০-১টি আসন। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে প্রত্যেক সমীক্ষার মতোই এই বুথফেরত সমীক্ষাও ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। কোনও ক্ষেত্রে ফলাফল মিলতে পারে, কোনও ক্ষেত্রে সমীক্ষা রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তব ফলাফলের কোনও মিল নাও থাকতে পারে। কারণ গণতন্ত্রে শেষ কথা বলেন মানুষই।   


প্রেক্ষাপট...
গত বার আলিপুরদুয়ারের ১৮টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ১৭টি গিয়েছিল তৃণমূলের ঝুলিতে। মাত্র ১টি পায় বিজেপি। কংগ্রেস ও সিপিএমের বরাতে ছিল শূন্য। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এর ঠিক পরের বছর আলিপুরদুয়ার লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপির প্রার্থী জন বার্লা। বস্তুত, উত্তরবঙ্গের বড় অংশ জুড়েই জোরাল হয়ে ওঠে গেরুয়া শিবিরের সংগঠন। একুশের বিধানসভা ভোটে সেই সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধিতে কিছুটা ধস নামাতেও পারলেও উত্তরবঙ্গ যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে চিন্তায় রেখেছে, তা মাঝেমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তৃণমূলে যোগদান করেন সুমন কাঞ্জিলাল। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ লোকসভা ভোটের ছবিটা কি তবে এবার পুরোপুরি পাল্টে যাবে? নাকি ১১ জুলাই গণনা শুরু হতেই অন্য কিছু উঠে আসবে? বলবে সময়।


সমীক্ষার খুঁটিনাটি...
আজ অর্থাৎ ভোটের দিন ২০টি জেলা পরিষদের ১৩ হাজার ২৮৯ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। বিকেল ৪টে পর্যন্ত করা সমীক্ষায় যা উঠেছে এসেছে, তার ভিত্তিতেই সার্ভের ফলাফল তুলে ধরেছে তারা। এই বুথফেরত সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস পাঁচ শতাংশ। কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক বা বুথফেরত সমীক্ষা, গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছেন। আর সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছেন। এই বুথফেরত সমীক্ষার সঙ্গে এবিপি আনন্দর এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। 


আরও পড়ুন:লাশের সারি বাংলায় ! ৬০ নয় মাত্র ১৫ হাজার বুথে হাজির ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানালেন রাজীব সিনহা