কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বড় ভূমিকা নেবে মুসলিম ভোট। ভোটের ময়দানে নেমেছে আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সংযুক্ত মোর্চা হিসাবে নির্বাচনে লড়ছে তারা। আবার আসাউদ্দিন ওয়েইসির দল মিমও লড়াই করবে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে।


বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট কিংবা মিম মুসলিম ভোট ভাগ করে পরোক্ষে বিজেপির সুবিধা করে দেবে? এ ব্যাপারে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সি ভোটার। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন সংযুক্ত মোর্চা ও মিম মুসলিম ভোট ভাগ করে পরোক্ষে বিজেপির সুবিধা করে দেবে। যদিও বিপরীত মতও রয়েছে। ৩৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সংযুক্ত মোর্চা ও মিম মুসলিম ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধা করে দেবে না। আর বলতে পারব না জানিয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষ।


নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন আহত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো অভিযোগ করেছিলেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে আহত করা হয়েছে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। বরং পুরোটাকেই মমতার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অঙ্গ হিসাবে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি কিংবা সংযুক্ত মোর্চার নেতারা। আহত মমতা অবশ্য বসে থাকেননি। হুইলচেয়ারে করেই তিনি প্রচার শুরু করে দেন। বিরোধীরা কটাক্ষের সুরে বলে, এটা মমতার সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা। হুইলচেয়ারে প্রচার চালিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি মানুষের সহানুভূতি পাবেন, নাকি এটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাবে? সি ভোটারের জনমত সমীক্ষায় ৪২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, হুইলচেয়ারে প্রচার করে মমতা সহানুভূতি পাবেন। ৩১ শতাংশ মানুষের মতে, এটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাবে। ১৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এতে মানুষের ভোটদানে কোনও প্রভাব পড়বে না। বলতে পারব না, জানিয়েছেন ১১ শতাংশ মানুষ।


কর্মী সম্মেলনে পাতে পড়ল ডিম-ভাত, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, নন্দীগ্রামে তাঁর ওপর গভীর ষড়যন্ত্র করে হামলা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, ভোটের আবহে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা এটা। কোনটা সঠিক বলে মনে করেন? আমজনতার কাছে এই প্রশ্নও রেখেছিল সি ভোটার। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪১ শতাংশ মানুষের বিশ্বাস, মমতার আহত হওয়ার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। ৩৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সহানুভূতি আদায়ে নাটক করছেন মমতা। বলতে পারব না, জানিয়েছেন ২২ শতাংশ মানুষ।