কলকাতা: কলকাতা পুরসভার চার নম্বর বরো রীতিমতো বৈচিত্রময়। কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত জোড়াসাঁকো থেকে স্বামী বিবেকানন্দর বেড়ে ওঠার সাক্ষী সিমলা স্ট্রিট। রাজা রাজেন্দ্র মল্লিকের বাড়ি মার্বেল প্যালেস থেকে ইংল্যান্ডের উইন্ডসর ক্যাসলের আদলে তৈরি টেগোর ক্যাসল। নকুড়ের মিষ্টি থেকে বেথুন কলেজ। ঠনঠনিয়া কালীমন্দির থেকে নাখোদা মসজিদ--- সবই এখানে। দ্রষ্টব্যের তালিকা দেখতে বসলে, অন্যান্য অনেক বরোকে বলে বলে দশ গোল দেবে চার নম্বর বরো। তবে বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলের নিরিখে এখানে তৃণমূলকে গোল দিয়েছিল বিজেপি। দশটা ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টায় এগিয়ে ছিল পদ্ম শিবির। চারটেতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
২০১৫ এর কলকাতা পুরভোটে এই চার নম্বর বরোর ১০ ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ৭ টি, বিজেপি ২টি এবং বামেরা ১টি আসন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক ফল ছিল, তৃণমূলের ঝুলিতে ৪টি পায়, বিজেপি পায় ৬টি বাম ও কংগ্রেস ছিল শূন্য হাতে। সি-ভোটারের সমীক্ষা বলছে, ২০২১-এর পুরভোটে এই বরোতে ১০টি ওয়ার্ডে তৃণমূল পেতে পারে ৬টি ওয়ার্ডে, বিজেপি ৪টি এবং বাম-কংগ্রেস অন্যান্যরা খাতা নাও খুলতে পারে।
উল্লেখ্য, সামনের রবিবারই কলকাতা পুরসভার ভোট। বিধানসভা নির্বাচন, বিধানসভা উপনির্বাচনের পর আরেক হাই ভোল্টেজ ভোট-যুদ্ধ। তার আগে কলকাতার ভোটাররা কী ভাবছেন? সেই আভাস পেতে বরো ভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়েছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার।
২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় পর্যায়ে সমীক্ষা করে আসছে C VOTER। তাদের প্রশিক্ষিত সমীক্ষকরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন। প্রত্যেকটি সমীক্ষা করা হয়, Random Probability Sample-এর ভিত্তিতে। যে পদ্ধতি, সারা বিশ্বে স্বীকৃত। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, নানা বিষয়ে সমীক্ষা চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে সি ভোটারের ঝুলিতে। কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন C VOTER-এর সমীক্ষকরা।৮ হাজার ৩৪১ জনের সঙ্গে কথা বলে এই সমীক্ষা করেছে তারা।CATI পদ্ধতির মাধ্যমে সমীক্ষা চালানো হয়েছে।সমীক্ষার ক্ষেত্রে মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস তিন শতাংশ থেকে প্লাস মাইনাস পাঁচ শতাংশ।