পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: দলীয় প্রতীক হাতে একসঙ্গে প্রচার করছেন বিজেপি (BJP) ও সিপিএমের (CPM) প্রার্থী। বাঁকুড়ার তালডাংরায় এমনই একটি ছবি দেখিয়ে বিজেপি-সিপিএম আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। সমঝোতার তত্ত্ব উড়িয়ে পাল্টা শাসক দলকেই আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি-সিপিএম।


একসঙ্গে প্রচারে: এক মিছিলে ঝান্ডা হাতে বিজেপি-সিপিএম। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বাঁকুড়ার তালডাংরায় এমনই এক ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি-সিপিএম অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিলেও, এই ছবি নিয়েই প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূল। এই ছবিতে দলীয় প্রতীক হাতে একসঙ্গে রয়েছেন, তালডাংরার হাড়মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী নমিতা বাউড়ি, পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী অচিন্ত্য ভুঁই ও জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী দুর্গা ঘোষ। তালডাংরার এই হাড়মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে স্ক্রুটিনির সময় বাদ পড়ে বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন। এখানে লড়াই তৃণমূল ও সিপিএমের। সেই কারণেই কি শাসকদলকে হারাতে সিপিএম-কে সমর্থন করছে গেরুয়া শিবির?

সিপিএম-বিজেপি সমঝোতার তত্ত্ব উড়িয়ে দিলেও, আক্রমণ শানাতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তিনটে দল এক হয়েছে। কয়েকটা পোস্টার দেখেছেন! পদ্মফুল সঙ্গে কাস্তে হাতুড়ি তারা। হাত চিহ্ন সঙ্গে কাস্তে হাতুড়ি তারা । আবার কোথাও হাত , পদ্মফুল এবং কাস্তে হাতুড়ি তারা । কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হারাতে হবে।’’ এর আগে তমলুকে একই দেওয়ালে দেখা যায় সিপিএম ও বিজেপির প্রার্থীদের নাম। আবার, উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একসঙ্গে কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর নাম লেখা ফ্লেক্সের ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে আক্রমণ শানান তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য।


রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো বাহিনী পাঠাবে কেন্দ্র? প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় বাহিনী একলপ্তে না পেলে, ভোটের দফা কি বাড়াবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? আজ কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ফের মামলার শুনানি। হাইকোর্টের নির্দেশমতো, ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করাতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়া নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছে অমিত শাহর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী, আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। কেন্দ্র কি সেই বাহিনী পাঠাবে? পঞ্চায়েত ভোটের বাকি আর ১০ দিন। গ্রাম বাংলার ভোট ঘিরে অশান্তি থেমে নেই। ভোট হিংসায় রাজ্যে ১৯ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলার নানা প্রান্তে গুলি, বোমা চলছে, ঝরছে রক্ত। এই পরিস্থিতিতে কমিশনের আর্জি মতো কেন্দ্র পর্যাপ্ত বাহিনী পাঠাতে না পারলে, পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানো হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আজ আদালতের দিকে তাকিয়ে সবপক্ষ। 


আরও পড়ুন: Clove Farming: লক্ষ্মীলাভ করতেও ভরসা উপকারী লবঙ্গ! লাভ পাবেন চাষিরা