কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দেওয়াল লিখন, প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরকে আক্রমণও চলছে। এই পরিস্থিতিতে সিএনএক্সের দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আসন্ন ভোটে কে কত আসন, কত শতাংশ ভোট পেতে পারে-এ নিয়ে সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে সিএনএক্সের দ্বিতীয় দফার এই সমীক্ষা হয়েছে ১৫ থেকে ২৩শে ফেব্রুয়ারি। তখন তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হয়নি, জোটের ব্রিগেড হয়নি, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোট হয়নি, নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সভা হয়নি, মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগদান হয়নি। সুতরাং এতগুলো বড় ঘটনার কোনওটার ইমপ্যাক্ট এই সমীক্ষায় নেই। তাই ভোটের হাওয়া কোনদিকে, সেব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কথা বলার সময়ই এখনও আসেনি।
এবারের ভোটে বেকারত্ব একটি বড় ইস্যু। সিএনএক্সের দ্বিতীয় দফার সমীক্ষায় বেকারত্বের বিষয়টি উঠে এসেছে। বিজেপি না তৃণমূল, ক্ষমতায় এলে কে বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারবে? এই প্রশ্নের জবাবে ৪৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারে। অন্যদিকে, ৩৮ শতাংশ মানুষের মতে, বিজেপি-ই বেকারত্বের সমস্যা দূর করতে পারে। ৫ শতাংশ মানুষ আবার মনে করছেন, দুই দলই বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারে। ২ শতাংশ মানুষের মতে, কোনও দলই বেকার সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। ১১ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না।
কোন ক্ষেত্রে মমতা সরকার সবচেয়ে অসফল বলে আপনি মনে করেন? সিএনএক্সের জনমত সমীক্ষায় এই প্রশ্নও উঠে এসেছিল। তাতে ৩৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, বেকারত্ব বৃদ্ধিই তৃণমূল আমলে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
কোন ক্ষেত্রে মোদি সরকার সবচেয়ে অসফল বলে আপনি মনে করেন? এই প্রশ্নের জবাবে ২৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, বেকারত্ব বৃদ্ধিই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।