নয়াদিল্লি: সংঘাত কাটিয়ে ঐক্যমত্য ফিরছে বিজেপি বিরোধী শিবিরে ((Lok Sabha Elections 2024))। আর তাতে প্রথম পদক্ষেপ করল কংগ্রেস। বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের আগে দিল্লিতে আমলা নিয়োগের প্রশ্নে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার এবং আম আদমি পার্টির (AAP) পাশে দাঁড়াল তারা। আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে মুখ খুলল কংগ্রেস (Congress)।
একদিন আগে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ রাজ্যের সরকারগুলির যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রক্ষার কথা বলেছিলেন। রবিবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, কালকের বৈঠকে আপ থাকবে। আর দিল্লিতে আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণের যে অর্ডিন্যান্স, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এই অর্ডিন্যান্সকে আমার সমর্থন করব না।" (Opposition Alliance)
সোম-মঙ্গল, দুই দিন ধরে বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী শিবিরের বৈঠক শুরু হচ্ছে। তার আগে, রবিবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কংগ্রেস। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আপ-ও। দলের সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা ট্যুইটে লেখেন, 'দিল্লির অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের দ্ব্যর্থহীন বিরোধিতা ইতিবাচক ইঙ্গিত'।
বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে যোগদান নিয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি আপ, তবে তাদের উপস্থিত থাকতে দেখা যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এর আগে, গত ২৩ জুন পটনায় বিরোধীদের যে বৈঠক বসে, তাতে উপস্থিত ছিল আপ। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের একছাতার নীচে আসার প্রশ্নে সন্দেহের অবকাশ রয়ে যায়। কারণ অর্ডিন্যান্স বিরোধিতার প্রশ্নে সংঘাতে জড়ায় কংগ্রেস এবং আপ। কংগ্রেস স্পষ্ট ভাবে অবস্থান না জানালে বিরোধী জোটে শামিল হওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে বলে জানায় আাপ। তাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্ডুন খড়্গের সঙ্গে বাদনুবাদ হয় কেজরিওয়ালের। সেবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন।
গত ১৯ মে দিল্লিতে আমলা নিয়োগে অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার, যার আওতায় দিল্লি সরকারের পরিবর্তে আমলাদের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের হাতে ওঠে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী হলে দাবি করে আপ। সংসদের বাদল অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের সমর্থন জোগাড়ে অগ্রণী হয়েছে আপ। তাতেই দেরিতে হলেও, আপের পাশে থাকার বার্তা দিল কংগ্রেস।