কলকাতা: ৪৪, ৫২...এর পর কি ১০০? এখনও পর্যন্ত গণনা শেষ হয়নি। তাই কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা কোথায় পৌঁছবে,  নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে সকালের ট্রেন্ড যদি সঠিক ইঙ্গিত দেয়, তা হলে এবারের লোকসভা ভোটে ৯০ পার করতে পারে কংগ্রেস। আর সেক্ষেত্রে ২০১৪, ২০১৯ সালের পর এটিই হবে শতাব্দীপ্রাচীন দলের সবথেকে ভাল পারফরম্যান্স। যদিও তার পরও হয়তো বিজেপির নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে থাকবে তারা। তা হলে লাভ? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই লাভের দিকটি এখনই স্পষ্ট না হলেও কংগ্রেসের জন্য এই ফলাফ ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে।


বিশ্লেষণ...
প্রতিবেদনটি যখন লেখা হচ্ছে, তখন কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৯৩টি আসনে। বিজেপি ২৪৫টি আসনে। এনডিএ-র ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ২৮৮, 'ইন্ডিয়া' জোট ধরলে তা ২৩৪, অন্যান্যরা এগিয়ে ২১টি আসনে। জোটের টক্কর ধরলে এবার গণনার শুরু থেকেই এনডিএ-কে কড়া প্রতিযোগিতার মুখে ফেলেছে 'ইন্ডিয়া।' একসময়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যা প্রয়োজন, সেই ২৭২টি আসনেও এগিয়ে ছিল না এনডিএ জোট। পরে ধীরে ধীরে তা বাড়ে, আবার কমে। কার্যত প্রত্যেক রাউন্ড গণনায় এই ওঠাপড়া স্পষ্ট। টানটান লড়াই, স্নায়ুযুদ্ধ বললেও অতিশোয়ক্তি হয় না। 
এবার দেখা যাক বিজেপি-কংগ্রেসের দিকে। খালি চোখে দেখলে লড়াইটা একপেশে মনে হতে পারে। কিন্তু প্রথমে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে শতাব্দীপ্রাচীন দলের যা পারফরম্যান্স ছিল, তার নিরিখে এই বারের পারফরম্যান্স অনেকটাই ভাল হয়েছে। এক ধাক্কায় অনেকখানি আসন বাড়াতে পারে কংগ্রেস, এমনই আপাতত ইঙ্গিত। গত কাল, সোমবার, সনিয়া গাঁধী বলেছিলেন, 'সবুর করুন। সব দেখতে পাবেন।' এখনও পর্যন্ত যা ছবি, তাতে এক্সিট পোলের পূর্বাভাস কার্যত উল্টে গেল।


যা ঘটল...


রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, রাহুল গাঁধীর 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' এই সাফল্যের অন্যতম কারণ। ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত টানা, ভারতের নানা প্রান্তে এই যাত্রা করেন রাহুল। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতা, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা, তাঁদের সমস্যা একেবারে কাছ থেকে জানা এবং বিজেপি-বিরোধী প্রচারে 'গ্রাউন্ডওয়ার্ক', সব কিছুই এই যাত্রার সৌজন্যে। তা ছাড়া আরও একটি বিষয় কংগ্রেসের অন্দরে বেশ কিছু বদল এনে থাকতে পারে। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন তার অন্যতম। এর আগে, দলের নেতৃত্ব নিয়ে অন্দরেই নানা বিতর্কের মেঘ দানা বেঁধেছিল যা দৃশ্যত শতাব্দীপ্রাচীন দলকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়। ২০২২ সালে মল্লিকার্জুন খড়্গের নির্বাচন সেই বিতর্কের নিরসনে অনেকটাই কাজে দিয়ে থাকবে, বিশ্লেষণ নানা মহলের। তবে হিন্দি বলয়ে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানো জরুরি। সেটা কতটা হল, সেটা স্পষ্ট হবে গণনা শেষের পর।


 


আরও পড়ুন:রেজাল্ট বেরোলে পরিবারের লোকদের পুড়িয়ে মারব, অভিযোগ রেখা পাত্রর