কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: করোনার ভ্যাকসিন নিতে গিয়েও পাননি। কিন্তু  হোয়াটসঅ্যাপে আসা মেসেজ দেখে চক্ষু চড়কগাছ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে চলে এল ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট। ঘটনায় হতবাক পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা ভেবেই পাচ্ছেন না ওই ব্যক্তি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক।

  


করোনার ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে শুনেছিলেন তা ফুরিয়ে গিয়েছে। ফলে নেওয়া হয়নি ভ্যাকসিন। কিন্তু বাড়িতে বসেই ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন আসানসোলের এক বাসিন্দা। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল উত্তর থানা এলাকার সেনর‍্যালে এলাকার বাসিন্দা বছর ৪৭-এর ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি করোনার ভ্যাকসিন নেবেন বলে অনলাইনে বুকিং করেন ইসিএলের কালনা হাসপাতালে। তাঁকে সময় দেওয়া হয় সোমবার দুপুর ৩টে থেকে সন্ধে ৬টার মধ্যে। সেইমতো তিনি সোমবার কালনা হাসপাতালে যান। কিন্তু গিয়ে জানতে পারেন, ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে। তাই জানিয়ে দেওয়া হয় সেদিন আর তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। মঙ্গলবার ফের আসতে বলা হয় তাঁকে।


কিন্তু বাড়ি ফিরেই প্রথমে মোবাইল ফোনে মেসেজ পান যে তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ-এ চলে ভ্যাকসিন দেওয়ার সার্টিফিকেট। ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, স্বাস্থ্যভবনে যোগাযোগ করেও তিনি কোনও সদুত্তর পাননি। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন। এই বিপত্তির পর মঙ্গলবার আর করোনার ভ্যাকসিন নিতে কালনা হাসপাতালে যাননি ইন্দ্রনীল। জেলা প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, তারই অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।


উল্লেখ্য, মার্চের শেষ সপ্তাহে সিদ্ধান্তে নেওয়া হয় ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ ঊর্ধ্ব সকলকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত। এর আগে কোমর্বিডিটি থাকলে, তবেই ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকা মিলত। ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের বেশি বয়স হলেই টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে বেড়েছে টিকাকরণ।