নয়াদিল্লি: দিল্লি আবগারি মামলায় (Delhi liquor policy Scam) আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত অভিযোগে ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal ED custody) ইডি হেফাজত আরও ৪ দিন বাড়ল। এর আগে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন ফের আদালত তাঁকে আরও চার দিনের ED হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ১ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন তিনি।


আগের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে আজ তাঁকে দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই স্পেশাল সিবিআই বিচারক কাভেরী বাজওয়া আরও চার দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।


গতকাল দিল্লি হাইকোর্টেও (Delhi High Court) কোনওরকম স্বস্তি পাননি কেজরিওয়াল। তবে গ্রেফতারি ও হেফাজত নিয়ে তাঁর করা আবেদনের ভিত্তিতে নোটিশ জারি করা হয়েছে।


ANI-সূত্রের খবর, কেজরিওয়ালের স্ত্রীর একটি মোবাইল ফোন থেকে যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে সেটি বাছাই ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।  এছাড়া আরও কিছু ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, যেগুলি থেকে এখনও কোনও তথ্য বের করা হয়নি। ইডির দাবি কেজরিওয়াল জানিয়েছেন তিনি তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে লগইন আইডি বা পাসওয়ার্ড দেবেন। সেই কারণেই কেজরিওয়ালকে ফের হেফাজতে চায় ইডি। সওয়াল জবাবের পরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফের ১ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতের (ED Custody) নির্দেশ দেওয়া হয়।






এদিন সওয়াল জবাবের সময় তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আদালতের সামনে একাধিক প্রশ্ন রাখেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এএনআই সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরে কেজরিওয়াল প্রশ্ন করেছিলেন ওই কয়েকটি বক্তব্যের ভিত্তিতে তাঁর মতো একজন মুখ্যমন্ত্রীকে আদৌও গ্রেফতার করা যায় কিনা।


বেশ কিছুদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদের পরে দিল্লি আবগারি মামলায় (Delhi Excise policy) গ্রেফতার করা হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তার আগে এই মামলায় একাধিকবার সমন পাঠালেও এড়িয়ে গিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈন, আপ-এর রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার হয়েছেন।


আরও পড়ুন: প্রচারে বেরিয়ে ঘুগনি খেলেন রচনা, বলেন 'এত ভাল ঘুগনি আমার বাড়িতেও হয় না'!