কলকাতা: চেনা কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে সরে যেতে হয়েছে তাঁকে। নতুন করে শুরু করতে হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে। তবে কেন্দ্র বদলালেও বরাবরের মতোই আত্মবিশ্বাসী বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এ বারের লোকসভা নির্বাচনেও ভাল করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ বর্ধমান-দুর্গাপুরে, তার আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্পত্তির খতিয়ান দিলেন। (Dilip Ghosh Assets)
বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেন দিলীপ। তাঁর হলফনামা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। দিলীপ জানিয়েছেন, ২০২০-’২১ সালে তাঁর আয় ছিল ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ২৩ টাকা, ২০২১-’২২ সালে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৬০ টাকা, ২০২২-’২৩ সালে ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৫০ টাকা। (Dilip Ghosh Affidavit)
দিলীপের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধ মামলা রয়েছে। হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, কলকাতার হেয়ারস্ট্রিট থানা, কলকাতা ময়দান, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, পশ্চিম বর্ধমানের ককওভেন, পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়া, কলকাতার কালীঘাট, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমানের রায়না, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, উত্তর ২৫ পরগনার বিধাননগর সাংসদ-বিধায়ক আদালত, জলপাইগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি, খড়্গপুর টাউন থানায় দায়ের ২৮টি অপরাধ মামলার কথা জানিয়েছেন দিলীপ।মূলত হিংসা এবং উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থেকেই এত মামলা হয়েছে তাঁর নামে।
একনজরে দিলীপের সম্পত্তির খতিয়ান-
- অস্থাবর সম্পত্তি-৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা।
- স্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা।
- নিজের কেনা সম্পত্তি-১ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা।
- উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি-৪৩ লক্ষ টাকা।
- গৃহঋণ-৫০ লক্ষ টাকা।
দিলীপ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁর হাতে নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। একটি SBI অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭০৬ টাকা, আর একটিতে ১৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৩৬ টাকা রয়েছে তাঁর। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার অ্যাকাউন্টে ৫১ হাজার ৭১ টাকা রয়েছে। ফাঁকা পড়ে রয়েছে আর একটি SBI অ্যাকাউন্ট। ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার জীবনবিমা রয়েছে।
পোস্ট অফিসের একটি অ্যাকাউন্টে দিলীপের ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৬ টাকা রয়েছে। পোস্ট অফিসের আরও অন্যান্য অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার, ৫ লক্ষ, ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা রয়েছে দিলীপের। সব মিলিয়ে দিলীপের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা।
১.৮৮ একরের কৃষিজমি রয়েছে দিলীপের, বর্তমানে যার বাজারমূল্য ৪০ লক্ষ টাকা। কুলিয়ানায় ৮০০ স্কোয়্যারফুটের একটি বাড়ি রয়েছে। আর একটি ফ্ল্যাট রয়েছে কলকাতার বামনঘাটায়, যার আয়তন ৩৪৮৩ স্কোয়্যারফুট। এর মধ্যে প্রথমটি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বলে জানিয়েছেন দিলীপ। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতার ফ্ল্যাটটি তিনি ৯৯ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনেন বলে জানিয়েছেন। বাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য ৩ লক্ষ টাকা এবং ফ্ল্যাটটির ৯৯ লক্ষ টাকা বলে কমিশনকে জানিয়েছেন দিলীপ। তাঁর মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ৫০ লক্ষ টাকা গৃহঋণ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ। সাংসদ হিসেবে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বেতন ও ভাতা পান।