বীরভূম: ভোট-প্রচারে (Loksabha Election 2024) গিয়ে মেজাজ হারালেন শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। ভোটারকে ইডিয়ট বললেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। এদিন দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মঙ্গলপুর গ্রামে প্রচারে যান শতাব্দী। আর সেখানে গিয়েই এই ভাষায় মন্তব্য করেন তিনি।
ভোটারকে ইডিয়ট বললেন শতাব্দী: ভোট প্রচারে এক গ্রামবাসীর প্রশ্নে মেজাজ হারালেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। বুধবার দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মঙ্গলপুর গ্রামে প্রচারে যান তিনি। প্রচার চলাকালীন তৃণমূল প্রার্থীকে দেখে স্থানীয় গ্রামবাসী সুনীল মণ্ডল প্রশ্ন করেন, সাংসদ যদি এতই কাজ করেছেন, তাহলে তাঁর দল তা প্রচার করছে না কেন? তাতেই মেজাজ হারান শতাব্দী। তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, “উনি বলছেন যে ট্য়াঙ্কের টাকা দিয়েছিল রাতের অন্ধকারে সেই টাকা নিয়ে গেছে। সে তো হয় না। এটাতো ব্য়াঙ্ক টু ব্য়াঙ্ক ট্রান্সফার হয়। এটা কি আর ক্য়াশ টাকা নিয়ে যাওয়া। সেই জন্য় আমি বললাম আপনি ভুল কথা কেন বলছেন? তা উনি এসেছেন বলছেন আমি সেটা মানে করতে চাইনি। আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলব।’’ শতাব্দী মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুনীল মণ্ডল বলেন, “উনি কী দিয়েছেন সেই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। আর আমার কিছু বলার নেই। আমি বললাম যে আপনি যে কাজগুলো করেছেন তার প্রচার নেই কেন। বলতেই পারে। বয়স্ক লোক, দিদির মতো লোক।’’
শতাব্দীর মন্তব্যে কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “১৫ বছর ধরে সাংসদ থেকে উনি কী করলেন বীরভূমের মানুষের জন্য়? এতদিন কোনও জায়গায় দেখা পাওয়া যায়নি। বীরভূের মানুষ বলেছে তোমার দেখা নাই রে। গ্রামের কোনও মানুষ তাকে দেখতে পায়নি। অথচ তিনি বলেছেন যদি আমাকে দেখতে চান তাহলে আমাকে ভোট দাও।’’ বীরভূমের কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদের কথায়, “বীরভূমের মানুষ ইডিয়ট নয়। বীরভূমের মানুষ সত্য়ি খুব বোকা। বীরভূমের মানুষ বোকা না হলে আপনাকে পর পর তিনবার সাংসদ করত না। বীরভূমের মানুষ এবং বিজেপি বোকা না হলে বিজেপির বহিরাগত প্রার্থীকে গ্রহণ করত না। বীরভূমের মানুষকে অনুরোধ করব আপনাদের ইডিয়টই বলুন আর বিজেপি যাই বলুক আপনারা ব্য়ালটে তার প্রতিফলন করবেন।’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।