মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : দিলীপ ঘোষের লাঠৌষধি? লাঠি নিয়ে প্রাতর্ভ্রমণে বেরোলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী। দিলীপ ঘোষের দাবি, অবাঞ্ছিত লোকজন সামাল দিতেই হাতে লাঠি নিয়ে ঘুরছেন।


সোমবারই দুর্গাপুর শহরের ফুলঝোর মোড়ে চা-চক্রে যোগ দিতে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি প্রার্থীকে গো ব্যাক স্লোগানও দেন তৃণমূল কর্মীরা। তার পরের দিনই লাঠি হাতে রাস্তায় নামতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে।  নির্বাচনের আগে লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থীর হাতেই লাঠি? কীভাবে ? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।  


দিলীপ ঘোষের চা চক্র ঘিরে সোমবার দুর্গাপুরে এভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।  এদিন দুর্গাপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে চা চক্রের আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফে। তার আগেই গোটা এলাকায় লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের পতাকা। ফুলঝোড় মোড়ে সেই চা চক্র সেরে, পাশের একটি স্কুলের অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করতে যান দিলীপ ঘোষ। তখনই সেখানে শুরু হয় বিক্ষোভ। দু'পক্ষের হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।  পরে নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  ঘটনার পর এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোর স্লোগান তোলেন খোদ দিলীপ ঘোষ। তারপরই মঙ্গলবার লাঠি হাতে রাস্তায় বেরোলেন বিজেপি প্রার্থী।  


ভূূপতিনগরে NIA-র ওপর হামলার ঘটনায় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি দেন। 'যদি পুলওয়ামা হতে পারে, বালাকোট হতে পারে, এখানেও সেরকম, তার চেয়েও বড় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হতে পারে।' শুধু তাই নয়, বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থীর দাবি, যে কোনও সময় চোরেদের বাড়িতে যেতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।  ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে অন্যতম ইস্যু করেছিল মোদি সরকার। ২০১৬’র ২৯ সেপ্টেম্বর, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় সেনার প্যারা কমান্ডোরা। এবার আরেক লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতির পরিসরেও উঠে এল সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ! 


আরও পড়ুন - Poila Boisakh 2024: পয়লা বৈশাখের আগে চৈত্রেই ঘর সাফ করা জরুরি, কী কী না করলেই নয় ?                         


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।