কলকাতা: উলুবেড়িয়া ১-এর বিডিও-র বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের (CBI Inquiry) নির্দেশ খারিজ করল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। এদিন যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে বিষয়টি নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নজরদারিতে তদন্ত করবে রাজ্য পুলিশ। সিবিআই তদন্তের মতো উপাদান এই মামলায় নেই, জানাল ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এই মামলায় নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ। 


প্রেক্ষাপট...
সীমাহীন অশান্তি, একের পর এক খুন, পাহাড়প্রমাণ অভিযোগের মধ্যেই নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছিস কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগে CBI তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। একুশের বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। আর তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টকে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলার শুনানি শেষে প্রথমে, সিবিআই (CBI) তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। 


কী অভিযোগ?
সিপিএমের দাবি, মনোনয়নের পর দিন দেখা যায় উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের ৭ জন প্রার্থীর ওবিসি সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। সেই তালিকায় ছিলেন উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বহিরা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম খান ও ধূলাসিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী তনুজা বেগম মল্লিক। দু'জনেরই দাবি, তাঁরা কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরার দাবি, চেক লিস্টে দেখেন, প্রথমে তাঁর জমা দেওয়া নথি তালিকায় কাস্ট সার্টিফিকেটের উপর রাইট চিহ্ন দেওয়া হলেও পরে সেটি কাটা হয়েছে। এরপরই, এই দুই সিপিএম প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।  মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেছিলেন, তাঁদের মনোনয়নপত্র বিকৃত করেছেন উলবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে। যার ফলে স্ক্রুটিনিতে তাঁদের নাম বাদ গেছে। অভিযোগ করা সত্ত্বেও তা গ্রহণ করেননি বিডিও। অভিযোগকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে, ঘটনায় CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। তিনি বলেন, যে আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের কাছে এই তদন্তের ভার দেওয়া সমীচীন হবে না। সেই নির্দেশেই খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চ।


আরও পড়ুন:এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিন্হার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা