দিন কয়েক আগে দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিনব দাওয়াই বাতলেছিলেন রামদেব। তা নিয়ে তর্ক হয়েছিলও বিস্তর। সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছিল রামদেবের জনসংখ্যা কমানোর নিদান নিয়ে চর্চায়। আবারও যোগগুরুর বচন আলোচনার কেন্দ্রে। এবার তার নিশানায় লোকসভা ভোটে পরাজিত দলের নেতারা।
‘মানসিক চাপ কমাতে আগামী ১০-১৫ বছর কপালভাতি, অনুলোমবিলোম করুন!’, বিরোধী দলনেতাদের জন্য রামদেবের পরামর্শ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যোগগুরু বহু বছর ধরেই শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত কপালভাতি, অনুলোমবিলোম করার কথা বলে থাকেন। এবার বিরোধী নেতাদের এই দুই যোগাভ্যাস করার পরামর্শ দিলেন তিনি। শুনুন, কী বললেন রামদেব তাঁর টুইট বার্তায়।



এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রামদেব বলেন, "নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই দেশ আর্থিক, ধারণাগত ও সাংষ্কৃতিক দীনতা কাটিয়ে উঠবে। অমিত শাহ, পীযূষ গয়াল, নিতিন গডকড়ী প্রমুখরা আজ শপথ নিয়েছেন, তাঁরা জনগণের প্রত্যাশাপূরণের জন্য আগামী ৫ বছর কঠিন পরিশ্রম করবেন।"
"তাই আগামী ১০-১৫ বছর বিরোধী নেতাদের বেশি করে কপালভাতি আর অনুলোমবিলোম করতে হবে স্ট্রেস-মুক্তির জন্য", পরামর্শ যোগগুরুর।
এর আগেও বিভিন্ন সময় নানারকম মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এসেছেন রামদেব। গেরুয়া শিবির ঘনিষ্ঠ এই যোগগুরু একসময় অবশ্য মোদি সরকারের সমালোচনা করে রাহুল গাঁধীকেই বেশি নম্বর দিয়েছিলেন। আবার গেরুয়া শিবিরে বিজয় আবির ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরনো অবস্থানেই ফিরে এসেছেন তিনি। সেটাই পরিষ্কার করেদিলেন তিনি, আবারও।  দেখুন, রামদেবের সেই পুরনো সাক্ষাৎকার।

৩০ মে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ করে মোদি সরকার ২। অমিত শাহ পেলেন স্বরাষ্ট্র, রাজনাথ সিংহ প্রতিরক্ষা, নির্মলা সীতারামন অর্থ মন্ত্রক। আর প্রাক্তন বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর সুষমা স্বরাজের জায়গায় এলেন বিদেশ দফতরে।