কর্নাটকে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকার। কিন্তু পুরভোটে দুই শরিক দল পৃথকভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। দুটি দলই তাদের স্থানীয় নেতৃত্বকে স্থানীয় পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্বাচনের রণকৌশল চূ়ড়ান্ত করতে বলেছিল।
পুরভোটের সাতটি মিউনিসিপাল কাউন্সিলের ২১৭ ওয়ার্ড, ৩০ টাউন মিউনিসিপাল কাউন্সিলের ৭১৪ ওয়ার্ড এবং ১৯ টাউন পঞ্চায়েতের ২৯০ ওয়ার্ডের ভোটের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে।
মিউনিসিপাল কাউন্সিলগুলির ৯০ ওয়ার্ডে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি ও জেডিএস যথাক্রমে ৫৬ ও ৩৮ ওয়ার্ডে জিতেছে।
৩০ টাউন মিউনিসিপাল কাউন্সিলের ৭১৪ ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ৩২২ টিতে, বিজেপি ১৮৪ এবং জেডিএস ১০২ টিতে জিতেছে।
যদিও ১৯ টাউনশিপ পঞ্চায়েতের ২৯০ ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ড ১২৬ টিতে জিতেছে বিজেপি। কংগ্রেস ও জেডিএস যথাক্রমে ৯৭ ও ৩৪ ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে।
গত বুধবার পুর নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। এর ফলাফল রাজ্যের শাসক জোট কংগ্রেস ও জেডিএস-কে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল। কারণ, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যের ২৮ আসনের মধ্যে ২৫ টিতেই জয়ী হয়েছিল। কংগ্রেস ও জেডিএস জোট করে লড়েও একটি করে আসনে জিততে পেরেছিল। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এই জোটের রসায়ণ বা অঙ্ক কোনওটাই কাজ করেনি। কারণ, লোকসভা ভোটে এই দুই দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমীকরণ সেভাবে সফল হয়নি।
পুরভোটের ফলাফল স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস ও জেডিএস কর্মীদের উত্সাহ যোগাবে। কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি দীনেশ রাও বলেছেন, এই ফলাফল ইঙ্গিত দিয়েছে যে, স্থানীয় স্তরে দল শক্তিশালী রয়েছে। একইসঙ্গে লোকসভা ভোটে ব্যবহৃত ভোটিং মেশিন নিয়েও তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, এত স্বল্প ব্যবধানে জনাদেশের এমন ফারাক যাচাই করে দেখার প্রয়োজন রয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, যাই হোক না কেন, লোকসভা ভোটের পর মানুষ কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন এবং আস্থা রেখেছেন।
উল্লেখ্য, গতবছর ১০৫ পুরসংস্থার ভোটে ফলাফলে কংগ্রেস ৯৮২ এবং বিজেপি ও জেডিএস যথাক্রমে ৯২৯ ও ৩৭৫ আসনে জয়ী হয়েছিল।