নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আগামী ২ মে ভোট গণনার দিন বা পরের দিন যে কোনও ধরনের বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করল।
করোনাজনিত পরিস্থিতিতে জন সমাগত এড়ানোর লক্ষ্যে কমিশন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে, ভোট গণনার পর রিটার্নিং অফিসারের কাছে শংসাপত্র নিতে জয়ী প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধির সঙ্গে দুজনের বেশি থাকতে পারবেন না।
কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জাতীয় ও রাজ্যস্তরের দলগুলির মতামত ও প্রস্তাব পাওয়ার পর নির্বাচন ও উপনির্বাচন পরিচালনার জন্য বৃহত্তর নির্দেশিকা ২০২০-র ২১ অগাস্ট জারি করা হয়েছিল।
কমিশন আগামী ২ মে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু , কেরল, অসম ও পন্ডিচেরির বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার দিন ধার্য করেছে।সেইসঙ্গে ওই দিন বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনগুলিও ভোট গণনা হবে। দেশে করোনার সংক্রমণের প্রকোপের পরিপ্রক্ষিতে ভোট গণনার সময় আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।একইসঙ্গে থাকছে, ২০২০-র ২১ অগাস্ট জারি বৃহত্তর নির্দেশিকাগুলিও বহাল থাকছে।
উল্লেখ্য, গতকালই কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে কমিশনকে তুলোধুনো করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসেছে কমিশন। কোভিড বিধি নিয়ে কড়া অবস্থান নিল কমিশন।
গতকাল আদালত বলেছে, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী একমাত্র নির্বাচন কমিশনই। কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত’। মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঁশিয়ারি দেন , ‘সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করে দেব।’
ভোটের প্রচারে সমাবেশে লোক সমাগমের ক্ষেত্রে করোনা বিধি লঙ্ঘন নিয়ে কড়া মন্তব্য করে আদালত বলেছিল , ‘ভোট প্রচার যখন চলছিল, তখন আপনারা কি অন্য গ্রহে ছিলেন! আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কোভিড প্রোটোকল নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন। গণনার দিন কোভিড প্রোটোকল মানা নিয়ে কী ভাবছে কমিশন? ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানাতে হবে কমিশনকে।’ নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।