রামপুরহাট: 'বাংলা থেকে কাটমানি, সিন্ডিকেটরাজ বন্ধ করবে বিজেপি', রামপুরহাটের সভায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে আশ্বাস অমিত শাহের (shah on cut money and syndicate)। দুর্নীতি থেকে গরু পাচার, কয়লা পাচার, বালি পাচার--একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। সঙ্গে আহ্বান, 'দেশে ৪০০ পার, বাংলায় ৩০টি আসনে জিততে হবে।'  


আক্রমণে শাহ...
চলতি লোকসভা ভোটে, গরু-কয়লা-বালি পাচারকে বার বার অস্ত্র করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। নিয়োগে দুর্নীতিও রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণের বড় হাতিয়ার তাদের। এদিন শাহের মুখে শোনা গেল সিন্ডিকেটরাজ এবং কাটমানির কথা। শাহের আর্জি, 'যারা কাটমানি খায়, যারা সিন্ডিকেট করে, তাদের জেলে পাঠাতে হবে। সে জন্য গোটা দেশে ৪০০ আসন তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ৩০টি আসন জিততে হবে।' একমাত্র বিজেপি সরকার উপযুক্ত আসন পেলেই যে এই রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের আটকানো ও শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব হবে, সে কথাও দাবি করেন শাহ। তবে  দুর্নীতি প্রশ্নেই এদিন মূলত হুঙ্কার ছাড়েন তিনি। বলেন, 'যাঁরা এখনও গরু-বালি-কয়লা পাচার করছেন, তাঁরা শুধরে যান। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করে দেব।'


আর যা...
বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গও তুলতে শোনা যায় তাঁকে। শাহের কথায়, 'গরু পাচার করে এখন তিহাড় জেলে বন্দি এখানকার একজন...বাংলায় এখন মন্ত্রীর ঘর থেকেও কোটি কোটি টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়। চিন্তা করবেন না, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে যেতেই হবে।' এ বছর ভোটে সন্দেশখালির ঘটনাক্রমকে বিজেপি ও তৃণমূল দু-পক্ষই প্রচারের অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরেছে। এদিনও সেই ধারা ধরে রাখেন শাহ। সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে অভিযোগ করেন, 'বেপরোয়া নির্যাতন চালিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন হতে দেখেও চুপ ছিল তৃণমূল। তোষণের রাজনীতির জন্যই অন্যায়-অত্যাচার দেখেও চুপ ছিল।'  
তৃণমূল অবশ্য সন্দেশখালিকে 'বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত' বলে অভিযোগ করেছে। এদিন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর, ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা গোধরা দাঙ্গার কথা শুনেছিলাম। আমরা পুলওয়ামায় কীভাবে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিজেপি পুলওয়ামা করিয়েছিল আমরা শুনেছিলাম। সন্দেশখালিতে দেখলাম।' ভাইরাল ভিডিওতে এক মহিলা সাদা কাগজে সই করিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করারও দাবি শোনা যায় তাঁর মুখে যা নিয়ে একপ্রস্ত রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়।


আরও পড়ুন:'গণ্ডগোলের খবর পেলে হোয়াটসঅ্যাপ করুন, কোমর ভেঙে দেব' হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর