কলকাতা: ভোটের আগে বসিরহাট পুলিশ জেলার এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খানের বদলির নির্দেশ। ভোটের কোনও কাজে রাখা যাবে না আমিনুলকে, নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। সন্দেশখালিকাণ্ডে আমিনুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এছাড়াও সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি কোটেশ্বর রাওকেও বদলির নির্দেশ দিল কমিশন। রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকারকেও বদলি করল নির্বাচন কমিশন। আজ দুপুর ৩টের মধ্যে কে দেবাশিস সরকারের জায়গায় আসবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। (Basirhat Loksabha Elections)
শনিবার লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফা ভোটগ্রহণ রয়েছে বসিরহাটে। সেখানে বিজেপি-র প্রার্থী সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্র, তৃণমূলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম, বামেরা প্রার্থী করেছে নিরাপদ সরকারকে। আইসএফ বসিরহাটে প্রার্থী করেছে আখতার আলি বিশ্বাসকে। সেই নিয়ে তৎপরতার মধ্যেই বসিরহাটের এসডিপিও-কে সরানোর নির্দেশ দিল কমিশন। আগে একাধিক বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন আমিনুল। (Election Commission)
যাঁদের সরানোর নির্দেশ দিল কমিশন, তাঁদের কাউকে নির্বাচনের কাজে লাগানো যাবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে ফের একবার রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনেরক আধিকারিকদের বদলি করল কমিশন। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে রাজ্যের বিরোধীদের তরফে বার বার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। গতকালও সেই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনে। এর পরই মঙ্গলবার এই বদলির নির্দেশ দিল।
কী কারণে তাঁদের সরানো হল, তা যদিও খোলসা করেনি কমিশন। কিন্তু একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে,ও নির্বাচনের সময় দুই IAS এফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় এসপি-কেও। আর মাত্র একদফার নির্বাচন বাকি রয়েছে, তার আগে আরও তিন জনকে সরানো হল কমিশনের তরফে। বিরোধীদের তরফ থেকে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবারের মধ্যে এই তিন জনের বিকল্প হিসেবে, মাথাপিছু তিনটি করে নামের সুপারিশ করতে হবে। সেই নামগুলির মধ্যে থেকেই তিন জনকে পরবর্তী আধিকারিক কে হবেন, তা বেছে নেবে কমিশন। তবে যে তিনজনকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন, সন্দেশখালি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বার বার সরব হন শুভেন্দু। আমিনুল শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোনটি ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন বলে দাবি করেন।। আমিনুলের বাড়ি এবং দফতরে তল্লাশিও চালায় সিবিআই।