কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে শয়ে শয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছচ্ছে বাংলায়। সেই আবহে এবার বাংলার পুলিশকে বিজেপি শাসিত রাজ্যে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দুই বিজেপি শাসিত ভোটের পাহারায় যাচ্ছে বাংলার পুলিশ। দুর্গাপুর থেকে মধ্যপ্রদেশ যাচ্ছে রাজ্যের পাঁচ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ। ১০ কোম্পানি পুলিশ যাচ্ছে ছত্তীসগঢ়ে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ছত্তীসগঢ়ে কাজ শুরু করবে রাজ্য পুলিশ। ৮ এপ্রিল থেকে মধ্যপ্রদেশে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ রাজ্য পুলিশকে। (Lok Sabha Elections 2024)


নির্বাচন পরিচালনার কাজেই বাংলার পুলিশকে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। বাইরের রাজ্য থেকে যেমন বাংলায় ভোট পরিচালনা করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হয়েছে, তেমনই বাংলার পুলিশে আস্থা রেখে ভিন রাজ্যে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছে কমিশন। এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের জন্য দুর্গাপুর সশস্ত্র ব্রিগেড থেকে পাঁচ কোম্পানি পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৮ এপ্রিল থেকে মধ্যপ্রদেশে কাজ শুরু করে দেবে রাজ্যের পুলিশ। 


এর পাশাপাশি, ছত্তীসগঢ়ে লোকসভা নির্বাচনে ভোট পরিচালনার জন্য রাজ্য পুলিশের ১০ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে ব্যারাকপুর সশস্ত্র বাহিনী ব্রিগেড থেকে পাঁচ কোম্পানি, উত্তরবঙ্গ সশস্ত্র বাহিনী ব্রিগেড থেকে দুই  কোম্পানি,ইএফআর ব্রিগেড থেকে এক কোম্পানি, কলকাতা পুলিশ থেকে দুই কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে ছত্তীসগঢ়ে। ভোটের কাজে লাগানো হবে তাদের। 


আরও পড়ুন: Lok Sabha Polls 2024: ঘাটালের BJP প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে শোকজ কমিশনের


আগামী ১ এপ্রিল থেকে ওই দুই রাজ্যে কাজ শুরু করে দেবে রাজ্য পুলিশ। বাংলার পুলিশের বিরুদ্ধে বার বার নিরপেক্ষতা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরা সেই নিয়ে বার বার অভিযোগ তুলেছেন। বাংলার পুলিশ রাজ্যের শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।  কিন্তু ভোটের কাজে বিজেপি শাসিত রাজ্যে এবার সেই বাংলার পুলিশকেই ভোটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। 


তবে ভোটের কাজে এক রাজ্যের পুলিশকে অন্য রাজ্যে ভোটপ্রক্রিয়ার কাজে লাগানোয় কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনেই গোটা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার পুলিশকে কাজে লাগানোর বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এ রাজ্যের পুলিশে ভরসা নেই বলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। তার পরই বাংলার জন্য ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় কমিশন, যা জম্মু ও কাশ্মীরের চেয়েও বেশি।