নন্দীগ্রাম : হার মানবে যে কোনও টানটান থ্রিলারের চিত্রনাট্য। নন্দীগ্রামের ভোট গণনার একের পর এক রাউন্ড এগোচ্ছে আর ক্রমাগত বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। কখনও সেখানে এগোন শুভেন্দু অধিকারী, আবার কখনও তাঁকে পিছনে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেশ যে লড়াইয়ে হারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


১৭ রাউন্ডের শেষে শেষ হাসি হাসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২০০ ভোটে জিতেছেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত জানা যায় ১৯৫৩ ভোটে হেরে গিয়েছেন তিনি। ১৬ রাউন্ডের শেষে ৮২০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর শুরুর দিকে বেশ কয়েক রাউন্ড এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর তাকে টেক্কা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু লড়াই চলে সেয়ানে সেয়ানে।  শেষপর্যন্ত জেতেন শুভেন্দু অধিকারীই। 


নন্দীগ্রাম। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন। এবং এর গোটা প্রেক্ষাপট। কোনও রাজনীতি-নির্ভর সিনেমা স্ক্রিপ্টের থেকে কম চিত্তাকর্ষক নয়। যার উপর নজর ছিল গোটা দেশের। সৌজন্যে - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য-রাজনীতির অন্যতম দুই প্রধান মুখ। একসময়ের রাজনৈতিক সহকর্মীও।


দুজনের সম্পর্কে তাল কাটে ভোটের আগে আগে। মাঠে ময়দানে থেকে রাজনীতি করা শুভেন্দুকে দলে ধরে রাখতে কম চেষ্টা হয়নি তৃণমূলের তরফে। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। মেদিনীপুরের সভায় অমিত শাহর হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেন শুভেন্দু। দলের একসময়ের সেনাপতির দলবদল হজম করতে পারেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। 


সেই শুরু চ্যালেঞ্জের। বরাবরের লড়াকু রাজনীতিক মমতা আর পিছিয়ে আসতে চাননি। কার্যত মমতা-শুভেন্দুর সরাসরি লড়াইয়ের আবহ তৈরি হয়ে যায়। তাতে সিলমোহর দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে তেখালি মাঠের সভা থেকে নন্দীগ্রামের আসনে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মমতা। অন্যদিকে শুভেন্দুর চেনা ময়দান নন্দীগ্রামে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। হাই প্রোফাইল এই আসনে ভোটের আগেও একাধিক ঘটনা সংবাদমাধ্য়মের শিরোনামে উঠে আসে। 


আজ গণনার শুরু থেকে বিজেপি এগোলেও প্রেস্টিজ ফাইটে শেষ হাসি হাসলেন তৃণমূল সুপ্রিমোই।