নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড মারফত একটি সংস্থা থেকেই সবচেয়ে বেশি চাঁদা পেয়েছে তৃণমূল। কোয়েম্বাত্তূরের Future Gaming and Hotel Services PVT Ltd একাই তাদের প্রায় ৫৪২ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীন DMK-কেও ৫০৩ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে তারা। ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কেনে ওই সংস্থা। (Electoral Bonds)


সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার নির্বাচনী বন্ডের ক্রমিক সংখ্যা ধরে বিশদ তথ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে কমিশন, তাতেই Future Gaming and Hotel Services PVT Ltd সংস্থা কোন কোন দলকে চাঁদা দিয়েছে, তার হিসেব মিলেছে। তৃণমূল এবং DMK ছাড়াও, YSR কংগ্রেস, এবং বিজেপি-কে মোটা টাকা চাঁদা দিয়েছে ওই সংস্থা। (SBI Electoral Bonds)


Future Gaming and Hotel Services PVT Ltd সংস্থার মালিক সান্টিয়াগো মার্টিন। তিনি 'লটারি কিং' নামেও পরিচিত। বাংলায় তাদের 'Dear Lottery' অত্যন্ত জনপ্রিয়। SBI প্রদত্ত তথ্য বলছে, তৃণমূলকে ৫৪২ কোটি, DMK-কে ৫০৩ কোটি টাকা চাঁদা দেয় ওই সংস্থা। YSR কংগ্রেস তাদের কাছ থেকে ১৫৪ কোটি টাকা চাঁদা পায়। বিজেপি-কে ওই সংস্থা চাঁদা দেয় ১০০ কোটি টাকার। পাশাপাশি, কংগ্রেসকেও ৫০ কোটি টাকা চাঁদা দেয় তারা। সিকিমের কিছু দলকেও কয়েক কোটি টাকার চাঁদা দিয়েছে।




আরও পড়ুন: Electoral Bonds: রিলায়্যান্স অনুষঙ্গী সংস্থা থেকে ৩৭৫ কোটি চাঁদা BJP-কে, হিসেব নির্বাচনী বন্ডে


ক্রমিক সংখ্যা ধরে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য


কোন বন্ড, কোন দল ভাঙিয়েছে, তথ্য এল


এর পাশাপাশি, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলকে ২৮১ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে Haldia Energy. বিজেপি-কে ৮১ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে তারা। Vedanta গোষ্ঠী বিজেপি-কে ২২৬ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। কংগ্রেসকে তারা চাঁদা দিয়েছে ১০৪ কোটি টাকা। Keventer Food Park Infra Ltd, MKJ Enterprises, Madanlal Ltd নামের তিনটি সংস্থার দফতর হিসেবে কলকাতার একটি ঠিকানাকেই দেখানো হয়েছে। তিন সংস্থার ডিরেক্টর পদেও এক ব্যক্তিকে পাওয়া গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তারা ৫৭৩ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে, যার মদ্যে ৩৪৬ কোটি টাকা গিয়েছে বিজেপি-র ঝুলিতে। কংগ্রেস পায় ১২১ কোটি টাকা। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বহু সংস্থাই চাঁদা দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে। এখনও সব হিসেব কষা সম্ভব হয়নি।