শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: টিকিট নিয়ে তৃণমূলের লড়াই, দিনহাটায় (Dinhata) চলল গুলি (Firing)! দিনহাটায় ভর দুপুরে চলল অন্তত ৪ রাউন্ড গুলি! তৃণমূলকর্মীকে লক্ষ্য করে দলীয় কর্মীর (TMC Infighting) বিরুদ্ধেই গুলি চালানোর অভিযোগ। 


কী জানা গেল?
বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল ইসলামের দাবি, তাঁরাও গুলিচালনার অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশ খতিয়ে দেখছে বিষয়টি। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে ওদলাবাড়িতেও এক অভিযোগ এসেছিল। ঘটনা হল, পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই দিকে দিকে নানা হিংসার অভিযোগ তুঙ্গে উঠেছে। বহু ক্ষেত্রে অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে, বেশ কিছু ঘটনায় আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জল্পনাও শোনা গিয়েছে। চলতি মাসের প্রথম দিনের কথা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে তখনও কয়েকটা দিন বাকি। শাসকদলের 'গোষ্ঠীকোন্দল'-র জল্পনায় হইচই পড়ে গেল কল্যাণীতে। প্রাথমিক ভাবে উঠে আসে, সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতির সঙ্গে সংখ্যালঘু সেলের অঞ্চল সভাপতির বিবাদের জেরে মারামারি, পার্টি অফিস ভাঙচুর, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে কাঁটাবেলে এলাকায়। তাতে দুই তরফেরই সব মিলিয়ে জখম ১০ জন।


উঠে আসে
জখমদের ২ জনকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল থামাতে শেষে আসরে নামতে হয় কল্যাণী থানার পুলিশকে। যদিও সংখ্যালঘু সেলের অঞ্চল সভাপতি গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছিলেন যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতির ঘাড়ে। বেআইনিভাবে মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায়, আক্রোশবশত মারধরের পাল্টা অভিযোগ এনে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে কাঠগড়ায় তোলেন অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। ঘটনাচক্রে ঠিক এর আগের দিন, উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে। সূত্রের খবর, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এই ঘটনা। দু'পক্ষের মোট চার জন জখম হয় তাতে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বাঁকুড়ার পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের দলীয় পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের, পঞ্চায়েত প্রধান টুম্পা গরাইয়ের স্বামী দীপক গরাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি কর্মী আকাল গরাইয়ের বিবাদ বাঁধে।। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী লাঠি দিয়ে আকালের মাথায় মারেন। ওই বিজেপি কর্মীর মাথায় গুরুতর চোট লাগে তাতে, এমনই দাবি। দ্রুত আকালকে উদ্ধার করে বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও তৃণমূলের তরফে এই ধরনের অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি। উল্টে পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর বক্তব্য, পতাকা টাঙানোর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। আকাল গরাইয়ের পরিবারের দু'জন অন্যের আম চুরি করছিল। তার প্রতিবাদ করতেই আকাল, পঞ্চায়েত প্রধান, তাঁর স্বামী ও দেওরকে মারধর করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবী করে বিজেপির হুঁশিয়ারি, পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তারা। দু'পক্ষই বেলিয়াতোড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।


আরও পড়ুন:নতুন বাড়ি তৈরির সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন, অন্যথা হতে পারে ক্ষতি !