গত ২৪ এপ্রিল বেগুসরাইয়ে একটি নির্বাচনী জনসভায় গিরিরাজ বলেছিলেন, ‘যারা 'বন্দেমাতরম' বলতে পারে না বা মাতৃভূমিকে শ্রদ্ধা করতে পারে না, দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। আমার পূর্বপুরুষদের সিমারিয়া ঘাটে শেষকৃত্য হয়েছে, তাঁদের কবরের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু তোমাদের তিনহাত জমির প্রয়োজন’।
তাঁর এই মন্তব্যের জন্য জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়। এই মামলাতেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন গিরিরাজ।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ছাড়াও ওই সভায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি সহ বিজেপি অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আদালত এই মামলায় গিরিরাজকে ৫০০০ টাকা করে দুটি বেল বন্ড জমা দিতে বলেন।
ওই মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কারণ-দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।
কমিশন বলেছে, প্রাথমিকভাবে গিরিরাজ আদর্শ আচরণবিধি ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ভেঙেছেন। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভোটের প্রচারের সময় বক্তব্য রাখার সময় ধর্মকে ব্যবহার করা যায় না।
বেগুসরাই আসনে গিরিরাজের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার ও আরডেডি প্রার্থী তনভির হাসানের বিরুদ্ধে। গত ২৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় এই আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়।