কলকাতা: বাংলায় ভোট-হিংসার ঘটনার মধ্যেই রাজধর্ম মনে করালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিবেকানন্দ সেবা সম্মানের অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল। তাঁর বার্তা,'মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল থেকে রাজনৈতিক নেতা, প্রত্যেকেই মানুষের সেবার জন্য। জনগণই আমাদের ক্ষমতা দেয়, এটা ভোলা উচিত নয়। সাধারণ মানুষের ক্ষমতাকে খাটো করে দেখবেন না। সাধারণ মানুষের প্রতিই আমরা একমাত্র দায়বদ্ধ। আপনারা জানেন গ্রামীণ এলাকায় কী চলছে। যা হচ্ছে তা সুখকর নয়।' বড়বাজারে বিবেকানন্দ সেবা সম্মানের অনুষ্ঠানে গিয়ে মন্তব্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের।



তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া:
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'কেন্দ্রের সরকার যা করছে তা নিশ্চিতভাবে সুখকর নয়। বাংলার সরকার মনে করে বাংলার মানুষই শেষকথা বলে। তৃণমূল বিশ্বাস করে মানুষই শেষ কথা বলে। তৃণমূল সেই নীতি নিয়েই রাজনীতি করে।


বিজেপির কটাক্ষ:
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, 'রাজ্যপাল যে ভাষা বলছেন সেটা গণতন্ত্রের ভাষা। মানুষের ক্ষমতায়নের ভাষা। পশ্চিমবঙ্গে এখন একদলীয় একনেতৃত্বের একচেটিয়া শাসন চলছে। মধ্যযুগে যেভাবে শাসন চলত ঠিক একইভাবে গ্রামাঞ্চলে চলছে। আমার মনে হয় না রাজ্যপাল একথা বলায় কিছু হবে। সাধারণ মানুষকেই গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে।'


পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার আবহে বারবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দের। ভাঙড় এবং ক্যানিংয়ে মনোনয়ন পর্বে প্রবল অশান্তি হয়েছিল। সেই আবহে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ভাঙড়, ক্যানিংয়ে পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন। অন্যত্র অশান্তির ঘটনা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। অশান্তির ঘটনায় পিস রুম তৈরি করেছেন রাজ্যপাল। যে কোনও জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটলেই রাজভবনে পিস রুমে ফোন বা ইমেল করে অভিযোগ জানানো সুযোগ রয়েছে। সেখানে ফোনের পর ফোন গিয়েছে বলেও খবর। এরই মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। রাজ্যপালের ডাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সাড়া দেননি বলে অভিযোগ, তারপরেই তাঁর জয়েনিং লেটার রাজ্যপাল গ্রহণ করেননি বলেও খবর হয়। যদিও সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহেই জানা যায় রবিবার ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকেছেন রাজ্যপাল। যদিও পরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেনি রাজভবন। রাজীব সিন্হা নিজেই সময় চেয়েছিলেন রাজ্যপালের। সি ভি আনন্দ বোসের মন্তব্য, 'আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। আমি জানি তিনি ব্যস্ত আছেন ভোটের কাজে। যখন সময় পাবেন, তখনই আসতে পারেন। ভোট সংক্রান্ত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার আছে।'


আরও পড়ুন: অসময়ে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা রয়েছে? এই সমস্যা দূর করতে কী কী করবেন