Overeating Habit: আমাদের অনেকেরই অসময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে। মিডনাইট স্ন্যাকিংয়ের (Midnight Snacking) পাশাপাশি আমরা অনেকেই একসঙ্গে অনেকটা খাবার (Food) খেয়ে ফেলি বুঝতে না পেরে। অনেকে আবার একের পর এক খাবার খেতে থাকেন। এইসব অভ্যাস থাকলে আপনি ঘনঘন অসুস্থ হতে পারেন। খাওয়াদাওয়ার এই অনিয়মিত অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে প্রতিদিনের জীবনে কয়েকটা নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। কী কী করবেন আর কী কী করবেন না একনজরে দেখে নিন।


স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন- মানসিক অবসাদ থেকে আমরা অনেকেই সাধারণ সময়ের তুলনায় একটু বেশি খাবার খেয়ে থাকি। ভাল খাবার মন ভাল রাখে। তাই এই সময় চকোলেট, বাইরের খাবার বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এই অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন। স্ট্রেস কমানোর জন্য যখন যা ইচ্ছে তা না খেয়ে যোগাসন বা ধ্যান অভ্যাস করতে পারেন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। স্ট্রেস থেকে এই খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করতে পারলে আপনি সুস্থ থাকবেন, শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমবে না। ওজন বৃদ্ধি হবে না। অন্যান্য অসুস্থতাও দেখা যাবে না।


কী কী খেতে পারেন- ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এর দলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। কমলালেবু, ফাইবারযুক্ত ফল, ডাল জাতীয় দানাশস্য, মাছ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট- এইসব খাবার খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকতে পারে। তাই এই জাতীয় খাবার খেলে আপনার সহজে খিদে পাবে না। অর্থাৎ সারাক্ষণ একটা খিদে ভাব বা খাইখাই ভাব থাকবে না।


সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন- ঘুমের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। বেশি রাত জাগলে অসময়ে খিদে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বেশি রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন। প্রতিদিন নিয়ম করে একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়া প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। রাতের খাবার খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা ব্যবধান রেখে তারপর ঘুমোতে যান। পর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক সময়ের ঘুম আপনার মাঝরাতে কিছু খাওয়ার অভ্যাস দূর করবে।


পর্যাপ্ত জল খাওয়া প্রয়োজন- সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। এর দফলে খাবার ভালভাবে হজম হবে। শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। অর্থাৎ জলের ঘাটতি হবে না। জল খেলেও আপনার সারাক্ষণের খিদে ভাব কমে যাবে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক কতটা প্রয়োজন ক্যাস্টর অয়েল? কীভাবে চুলের খেয়াল রাখে এই তেল?