Gujarat-Himachal Election Result Live Update: হিমাচলে সরকার গঠনের পথে, ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে বিজয়ী প্রার্থীদের রিসর্টে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা কংগ্রেসের
Gujarat And Himachal Pradesh Election 2022 Result: চলতি মাসের ১ এবং ৫ ডিসেম্বর গুজরাতে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হয়। হিমাচলপ্রদেশে ভোটগ্রহণ হয় তারও আগে, ১২ নভম্বর।
কংগ্রেসের বিজয়ী বিধায়কদের আপাতত শিমলাতেই থাকতে বলা হয়েছে, খবর সূত্রে। আগামীকাল সেখানে তাঁদের সঙ্গে দেখা করার কথা ভূপেশ বাঘেল এবং ভূপিন্দর হুডার। থাকার কথা দলের তরফে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব শুক্লারও।
গুজরাতে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে জয় বিজেপির। ১৫৬ আসনে ঝুলিতে গেল গেরুয়া শিবিরের, ১৭টি আসনে জিতে অস্তিত্বরক্ষার প্রশ্নে পড়ল কংগ্রেস। আপ পেল ৫টি আসন।
ফল ঘোষণার পর হিমাচল প্রদেশের নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে চণ্ডীগড়ে বৈঠক করবে কংগ্রেস, খবর সূত্রে।
'বিজেপির প্রত্যেক কার্যকর্তাই এক এক জন চ্যাম্পিয়ন', গুজরাতে বিধানসভা ভোটের ফলাফল দেখে প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
গুজরাতে ৪টি আসন আপের। কেজরিওয়াল বললেন, 'আম আদমি পার্টি এখন জাতীয় দল' হয়ে গিয়েছে।
'হিমাচল প্রদেশে মুখ্য়মন্ত্রী কে হবেন, তা হাইকম্যান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ১০ পয়েন্ট ইস্তেহার ফলপ্রসূ হয়েছে ওখানে', বললেন বাঘেল।
'গুজরাতের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছেন', বিধানসভা ভোটের ফলাফল দেখে প্রতিক্রিয়া দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার।
'কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ইস্তফাপত্র রাজ্যপালকে জমা দেব', সংবাদসংস্থা এএনআইকে বললেন হিমাচল প্রদেশের 'বিদায়ী' মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের।
ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কায় জয়ী প্রার্থীদের একজোট হয়ে থাকার বার্তা কংগ্রেসের।মোহালির রিসর্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা।
“তুষ্টিকরণের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান গুজরাতের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়ন এবং জনকল্যাণকেই বেছে নিয়েছেন গুজরাতবাসী। অভূতপূর্ব রায় দিয়েছেন তাঁরা,” বিজেপি-র জয়ে প্রতিক্রিয়া অমিত শাহের।
কয়েক মাস আগেই দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। তার পরই গুজরাতে ভরাডুবি কংগ্রেসের। প্রতিক্রিয়া এড়ালেন মল্লিকার্জুন খড়্গে।
গুজরাতে সরকার গঠন করছে বিজেপি। ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় শপথ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ।
গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পথে ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাডেজার স্ত্রী রিভাবা জাডেজা। বললেন, "গত ২৭ বছর ধরে গুজরাতের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে বিজেপিষ গুজরাত মডেলের প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষ দলের উপর আস্থা রেখেছেন। গুজরাত চিরকাল বিজেপি-র সঙ্গে ছিল আর থাকবেও।"
হিমাচলপ্রদেশে ৪০ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে ২৪ আসনে, জয়ী একটিতে। নির্দল প্রার্থী এগিয়ে ৩ আসনে।
গুজরাতে ১৫০ আসনে এগিয়ে বিজেপি, কংগ্রেস এগিয়ে ২২ আসনে, ৬ আসনে এগিয়ে আপ। সরকার গড়া পাকা বিজেপি-র।
হিমাচলপ্রদেশে ৩৭ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি জয়ী একটি আসনে। ২৭ আসনে এগিয়ে। চলছে গণনা।
গুজরাতে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত। ১৫০-এর বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি। রেকর্ড গড়ার দিকে এগোচ্ছে।
খামবালিয়া কেন্দ্রে এগিয়ে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইসুদান গাদভি। ১৮ হাজার ৯৯৮ ভোটে এগিয়ে তিনি। চলছে গণনা।
হিমাচলপ্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কংগ্রেস এগিয়ে ৩৩টি আসনে। ৩১টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ম্যাজিক সংখ্যা ৩৫। গণনা চলছে।
গুজরাতে ১৪৯ আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে ১৮টি আসনে। চলছে ভোটগণনা।
গুজরাতে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। ঘাটলোদিয়া থেকে বিজেপি-র প্রার্থী তিনি। এগিয়ে রয়েছেন ২৩ হাজার ৭১৩ ভোটে।
গান্ধীনগরে উৎসব শুরু বিজেপি-র। গণনার শুরুতেই ৯৯ আসনে এগিয়ে বিজেপি। তাতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙছে।
হিমাচলে কংগ্রেস এগিয়ে ২০টি আসনে। ১৩ টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। নির্দল প্রার্থীরা এগিয়ে দুই আসনে।
হিমাচল প্রদেশে বিজেপি-কংগ্রেস জোর টক্কর। হিমাচলে ৩৬টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩২টি আসনে।
গণনার শুরুতে মোদির রাজ্যে অনেক এগিয়ে বিজেপি। ১২৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। ৪৯টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। আপ এগিয়ে রয়েছে ২টি আসনে।
কাজের উপর নির্ভর করেই চলছে সরকার। গত ২০ বছরে কোনও দাঙ্গা, সন্ত্রাস হামলা হয়নি। বিজেপি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। পদ্মের বোতাম টিপলে ভবিষ্যৎ নিরাপদ, মানুষ তা জানেন: হার্দিক পটেল।
ভোটগণনা শুরু হল হিমাচলপ্রদেশে। সিমলা-সহ একাধিক জায়গায় চলছে ভোটগণনা।
ভোটগণনা শুরু হল গুজরাতে। স্ট্রংরুম খুলে গণনা শুরু সুরতেও।
সকাল ৮টা থেকে ভোটগণনা শুরু হিমাচলে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। হৃত জায়গা ফিরে মরিয়া কংগ্রেস। আপের এই প্রথম চেষ্টা।
আজ গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। সেখানে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিজেপি। ২০১৭-র ফল ধরে রাখতে চায় কংগ্রেস। তাদের টেক্কা দিতে প্রথম বার ময়দানে আম আদমি পার্টি।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে বাকি দু'বছর এখনও। তার আগে প্রদেশ রাজনীতিতে ভাগ্য পরীক্ষা রাজনৈতিক দলগুলির। আজ দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিন। এক দিকে, হাই ভোল্টেজ গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Assembly Election 2022) ফলাফল প্রকাশ হতে চলেছে। অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের (Himachal Pradesh Assembly Election 2022) ফলাফলও আজই প্রকাশিত হতে চলেছে। আর দুই রাজ্যেই ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। দুই রাজ্য়েই এতদিন প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিজেপি (BJP) এবং কংগ্রেস (Congress)। এ বার ময়দানে পদার্পণ ঘটেছে আম আদমি পার্টির (AAP)। তাতে বিজেপি, কংগ্রেস, দুই দলের ভোটবাক্সেই প্রভাব পড়বে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
চলতি মাসের ১ এবং ৫ ডিসেম্বর গুজরাতে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হয়। হিমাচলপ্রদেশে ভোটগ্রহণ হয় তারও আগে, ১২ নভম্বর। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট নিয়ে যদিও শুরু থেকেই বিবাদ ছিল। একসঙ্গে ফলঘোষণা হলেও, ভোটগ্রহণ কেন একসঙ্গে হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা। অভিযোগ উঠছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে গুজরাতের ভূমিপুত্র, সেখানে মর্যাদার লড়াই বিজেপি-র। আবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে হিমাচলেও জয়ী হওয়া প্রয়োজন তাদের। তবে সেখানে বার বার মুখ্যমন্ত্রী বদল, দলীয় কোন্দল তাদের মাথাব্যথার কারণ
চেষ্টায় যদিও কোনও ত্রুটি রাখেনি বিজেপি। গুজরাত এবং হিমাচল, দুই রাজ্যেই মোদি, শাহ, জেপি নাড্ডা-সহ দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা দফায় দফায় প্রচার চালিয়েছেন দলের হয়ে। ঘোষণা করেছেন একাধিক জনমোহিনী প্রকল্পের। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে, গুজরাতের মোরবিতে ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয় অস্বস্তিতে ফেলে দেয় বিজেপি-কে। সেতু ছিঁড়ে পড়ে শিশু-সহ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় সরকারি দুর্নীতি এবং কারচুপিকে। ঘড়ি তৈরির সংস্থাকে কোন যুক্তিতে সেতু তৈরির বরাত দেওয়া হল, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই কেন খুলে দেওয়া হল সেতু, নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কেন বেশি লোক তোলা হল, সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে, কেন খেটে খাওয়া টিকিট বিক্রেতা, নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হল ওঠে প্রশ্ন।
শুধু তাই নয়, ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার হওয়া বিলকিস বানোর ১১ জন ধর্ষককে মেয়াদ শেষের আগেই, স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি দেওয়া নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্যের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রই বা তাতে অনুমোদন দিল কেন, ধর্ষকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে, মালা পরিয়ে জেলের বাইরে স্বাগত জানানো নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। আগাগোড়া এই প্রশ্নে যদিও নীরব মোদি-শাহরা। বরং গুজরাতে প্রচারে তারকা ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাডেজাকে নামাতে দেখা যায় তাদের। একই ভাবে হিমাচলে বিগত কয়েক দশকে পালা করে সরকারে থেকেছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। তার মধ্যে আপ ঢুকে পড়ে, সমীকরণ কার্যতই গুলিয়ে দিয়েছে। একাধিক জনমোহিনী প্রকল্পের ঘোষণা করেছে তারা। গুজরাতেও নিজেদের বিজেপি-রর বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে আপ।
আর এ সবের মধ্যে কংগ্রেসকে ঘিরে দোলাচল রয়েছে। কারণ ২০১৭ সালে গুজরাতে বিজেপি-কে কড়া টক্কর দিলেও, পরবর্তী কালে দল ছেড়ে দলে দলে নেতা-বিধায়ক বিজেপি-তে যোগ দেন। হিমাচলের পরিস্থিতিও তথৈবচ। এমনকি রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বা সনিয়া গান্ধীদের আগের মতো প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়নি। একই সঙ্গে দুই রাজ্যে আপের পদার্পণও বিপদসঙ্কেত বয়ে আনছে তাদের জন্য কারণ বিজেপি-র তেমন ক্ষতি না হলেও, আপ তাদের ভোটেই ভাগ বসাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরেই। ফলাফল কী হয়, তা জানা যাবে বেলা বাড়লেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -