আমদাবাদ: ক্ষমতা দখল করলে না পারলেও, গত নির্বাচনে ফলাফল ছিল চমকপ্রদ। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন যখন এগিয়ে আসছে, সেই সময় গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Assembly Election 2022) নিয়ে কংগ্রেসের (Congress) তরফে গা ছাড়া মনোভাব দেখানো হচ্ছে বলে এ বার অভিযোগ তুললেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্করসিং বাঘেলা (Shankersinh Vaghela) । একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, গুজরাতে (Gujarat) বিজেপি-বিরোধী (BJP) পরিবেশ তৈরি হওয়ার কথা।


গুজরাতের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী


দিন ক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও, এ বছরের শেষ নাগাদ গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জোর প্রচার চালাচ্ছে সব দলই। প্রথম বার গুজরাত নির্বাচনে নাম লেখাতে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। প্রথম লড়াইয়েই তারা বেশ খানিকটা রয়েছে বলে মত  রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। সেই আবহে নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন শঙ্করসিং।


সংবাদমাধ্যমে শঙ্করসিংহ বলেন, “কংগ্রেস নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে সে ভাবে আগ্রহই দেখাচ্ছেন না। দলে কোনও বড়মাপের নেতাই নেই এখানে। গুজরাতে বসার মতো কেউ নেই ওদের। তাই কংগ্রেসকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার মতোও কেউ নেই। গুজরাতে অভিজ্ঞ কাউকে আনার দরকার ছিল ওদের। রঘু শর্মা জুনিয়র। বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের তেমন আগ্রহ নেই বলেই মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি ১০ বার গুজরাত আসেন, তাহলে রাহুলের কমপক্ষে দু’বার তো আসা উচিত!”


আরও পড়ুন: Gujarat Assembly Election 2022: গুজরাতের ভূমি থেকেই মোদিকে টেক্কা দেওয়া লক্ষ্য, ৭৩ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা, প্রচার ও জনসংযোগে জোর কেজরির


দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, জনসঙ্ঘ, বিজেপি, কংগ্রেস, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, প্রায় সব শিবিরেই বিচরণ করেছেন শঙ্করসিং। এই মুহূর্তে নির্দল হিসেবে রয়েছেন। তবে কংগ্রেসের আসার ইঙ্গিত ধরা পড়েছে তাঁর কথায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সনিয়া গাঁধী এবং রাহুল গাঁধী অনুরোধ করলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দিতে প্রস্তত তিনি। তবে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর যাবেন না বলেও জানিয়েছেন।


কংগ্রেসের তরফে গা ছাড়া মনোভাব দেখানোর অভিযোগ


দীর্ঘ দিন গুজরাতে পদ্মশাসন চললেও, ইদানীং বিজেপি-বিরোধী আবহ তৈরি হয়েছে বলেও জানান শঙ্করসিং। একই সঙ্গে গুজরাতে বিজেপি-র প্রচারের ধরন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, গুজরাতের বিজেপি সরকারের দেখানোর মতো কোনও কাজই নেই। তাই নরেন্দ্র মোদিকে এনে প্রচার সারতে হচ্ছে.