সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীদের অফিসে ঢোকা-বেরোনো নিশ্চিত করতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। গাড়ি নিয়ে পর্ষদের অফিস পর্যন্ত যাওয়ার আবেদনে অবশ্য হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল ‘বহাল থাকা ১৪৪ ধারা কার্যকর করতে পদক্ষেপ নিতে পারবে পুলিশ (Police) ’, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী নির্দেশ।
টানা ধর্না-অনশন
প্রসঙ্গত, সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এলাকায় টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের চার দিনে পা দিয়েছে। চারদিনের মতো ধর্নার পাশাপাশি অনশন পেরিয়ে গিয়েছে তিনদিন। যদিও এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী।
বিক্ষোভ '১৭-র টেট উত্তীর্ণদেরও
করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের ধর্না চলাকালীনই ২০১৭-র প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে আটকায় পুলিশ। করুণাময়ী যাওয়ার রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। ’১৪ অনেক হল, এবার ’১৭-র খাতা খোলো, স্লোগান ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের।
যা নিয়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ‘বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে',। তাঁদের সমস্যা পুরনো, আগে সেটা সমাধান হোক দাবি ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁরা প্রশিক্ষণের পর টেট উত্তীর্ণ, ২০১৪-র ক্ষেত্রে তো ছাড় ছিল, দাবি ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণদের।
পুলিশকে পদক্ষেপে ক্ষমতা হাইকোর্টের
চাকরির জন্য চলতে থাকা ধর্না-অনশন-অবস্থানের মাঝেই চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল অবস্থান পুলিশ নিয়েছে বলেই কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয় সরকারের পক্ষে। যারপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীদের কাজকর্মে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতেই নির্দিষ্ট এলাকায় বহাল থাকা ১৪৪ ধারা কার্যকরে পুলিশকে ছাড় দেয় হাইকোর্ট।
জারি রাজনীতি
এদিকে, করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রস্তাব দেন 'সরকার চাইলে মধ্যস্থতায় রাজি'। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা'। চাকরিপ্রার্থীরা ধর্না-অবস্থান-অনশন শুরু করার পর থেকেই একাধিক বিরোধী শিবিরের নেতা সেখানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। পাল্টা গোটা বিষয়টি কোর্টের বিচারাধীন বলে মন্তব্য থেকে বিরত থেকেছে রাজ্যের শাসক তৃণমূল শিবির।
আরও পড়ুন- যা বলার ব্রাত্য বলবে, আমি চাই কারোর চাকরি যেন না যায় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়