হলদিয়া: ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়ে হলদিয়া ভবানীপুর শান্তশ্রী বিদ্যামন্দির বুথে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেখানেই গিয়ে পৌঁছলেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর কাছে অভিযোগ জানান ভোটাররা। (Debangshu Bhattacharya)
শনিবার ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ চলছে হলদিয়ার ভবানীপুরে। সেখানকার শান্তশ্রী বিদ্যামন্দির বুথে ছাপ্পাভোট চলছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেখানে দেবাংশু পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। জানান, তাঁদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বুথের মধ্যে ঢুকেছিলেন বলেও জানান স্থানীয়রা। ওই বুথের ভোটার না হয়ে তাপসী কী করে ভিতরে ঢুকলেন দেবাংশুও। (Haldia News)
দেবাংশুকে ঘিরে ধরে এদিন ভোটাররা বলেন, "তাপসী মণ্ডল এখানে কী করছেন? উনি বলছেন, বিজেপি-কে ভোট দিতে। আমরা ভোট কাকে দেব, সেটা উনি বলে দেবেন কেন?" তাঁদের শান্ত করে দেবাংশু বলেন, "আপনাদের অভিযোগ সংবাদমাধ্যম শুনেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাচ্ছি যে, তাপসী মণ্ডল বিধায়ক হয়ে এখানে এসেছেন। এখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আপনারা জমায়েত করবেন না। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিয়ে বাড়ি যান আপনারা।" সেখানে বিজেপি ছাপ্পাভোট দিচ্ছিল, স্থানীয়দের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি, বিজেপি-কে ভোট না দিলে বেরিয়ে যেতে হবে বলে নিদান দেওয়া হয়, এমনকি মহিলা এবং পুরুষদের উপর লাঠিচার্জও করা হয় বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, তাপসের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়র তাতে বেশ কয়েক জন মহিলা আহত হন। দেবাংশুর কথায়, "অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসেছিলেন, তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন তাপসী মণ্ডল। উনি এই বুথের ভোটার নন, তিনি ভিতরে গেলেন কী করে? উনি এসে বলেছেন বিজেপি-কে ভোট দিতে। সাধারণ মানুষ এসে ভোট দিচ্ছেন, তাপসী বলেছেন তাঁরা নাকি তৃণমূলের লোক। আজ পর্যন্ত এই বুথে কখনও অশান্তি হয়নি। এখানে এই নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটল।"
একই ভাবে নন্দীগ্রামেও অবাধে ছাপ্পাভোট দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি-র বিরুদ্ধে। সোনাচূড়ার ২৭৯ নম্বর গঙ্গা বাসুলি প্রাইমারি স্কুলে ছাপ্পা হয়েছে বলে দেবাংশু সরব হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলেও জানান। যদিও কমিশন অভিযোগ খারিজ করে দেয়। কমিশনের দাবি, ওই বুথে ভিভিপ্যাট খারাপ হয়ে যায়। সেটিকে পাল্টানো হচ্ছিল। তাই ভিড় জমেছিল। কিন্তু বুথের ভিতরকার যে ছবি সামনে এসেছে, তার ছবি কোথা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এল, তা খতিয়ে দেখছে কমিশন।