বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুরে বসন্ত উৎসবে অংশগ্রহণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল ( TMC Candidate Sujata Mandal)। কচিকাঁচাদের সঙ্গে রঙ খেলতে দেখা গেল তৃণমূল প্রার্থীকে। অন্যদিকে মহিলাদের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন তিনি। সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের সঙ্গে বসন্ত উৎসবে শামিল হতে দেখা গেল তৃণমূল প্রার্থীকে। বিষ্ণুপুরে এবার লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন সুজাতা ও সৌমিত্র। সুজাতার পাশাপাশি এদিন রঙের উৎসবের মাঝে ভোটের প্রচারও সারলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। 


'হোলি নিয়ে আমরা বিষ্ণুপুরবাসী সবসময় মত্ত থাকি..'


সৌমিত্র খাঁ এদিন বলেন, হোলি নিয়ে আমরা বিষ্ণুপুরবাসী সবসময় মত্ত থাকি। হোলি সমগ্র বাংলা তথা ভারতবাসীর কাছে রঙিন দিন। আমরা এদিন সকলেই মেতে উঠি। অপরদিকে সুজাতা মণ্ডল বলেছেন, 'শ্বেতশুভ্র শাড়ি পরে এসেছিলাম, কিন্তু কোনও রং দেওয়াই আর বাকি নেই। আজকের দিনটা বিষ্ণুপুর লোকসভার মানুষের সঙ্গে আবির খেলছি।' 


লোকাল ট্রেনে চড়ে ভোট প্রচারে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র


সম্প্রতি জনসংযোগের মাধ্য়ম  হিসেবে লোকাল ট্রেনে চড়ে ভোট প্রচার করেন বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদ এবং বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। ভিড় ট্রেনে ঝালমুড়ি খেয়ে করেন প্রচার। কাজের ভিত্তিতে ভোট চান মানুষের কাছে।সাধারণ মানুষের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে কাটেন টিকিট। লোকাল ট্রেনে চড়ে গল্প জোড়েন নিত্য় যাত্রীদের সঙ্গে খেলেন ঝালমুড়ি, তোলেন সেলফিও।


বিষ্ণুপুরে এবার লড়াইয়ের ময়দানে প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী


অনেকে আবার তাঁকে দেখেই জানালেন অভাব অভিযোগের কথা। ভোট প্রচারে সোমবার এভাবেই মাঠে নামলেন বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদ এবং বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁ বলেন, মশাগ্রাম জয়েনিং ৩০ তারিখ হতে চলেছে। তো আপনারা সবাই মোদি গ্য়ারান্টিতে ভোট দিন। মোদিজীকে ভোট দিন। ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ হিসেবে প্রার্থী আমি হয়েছি। আমাকে ভোট দিন। বিষ্ণুপুরে এবার লড়াইয়ের ময়দানে প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী।


আরও পড়ুন, বসন্ত উৎসব পালনের মাধ্যমেই ভোটের প্রচার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর


জয়ের লক্ষ্য়কে সামনে রেখে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন দুজনেই


তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সুজাতা মণ্ডল। বিজেপির প্রার্থী হয়ে ফের একবার সাংসদ হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন সৌমিত্র খাঁ। জয়ের লক্ষ্য়কে সামনে রেখে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন দুজনেই। সোনামুখী থেকে ট্রেনে উঠে মশাগ্রাম পর্যন্ত যান সৌমিত্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘড়ামি ও দলের কর্মীরা।