সুনীত হালদার, হাওড়া: লোকসভা ভোট (Lokshaba Election 2024) দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ততই একে অপরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) প্রার্থীরা। দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে দেবাংশু ভট্টাচার্য, কু-কথা বলতে শোনা যাচ্ছে সবাইকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগও জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। যার ভিত্তিতে জারি হচ্ছে শো-কজ নোটিসও। যদিও তাতে হেলদোল নেই কোনও তরফেই। 


মঙ্গলবার যেমন হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রচারে নেমে বিদায়ী সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Prasun Banerjee) 'কুম্ভকর্ণ' বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি প্রার্থী তথা হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী (Rathin Chakraborty)। আজ সকালে তিনি রামরাজাতলার চৌধুরী পাড়ায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রচারে বের হন। প্রথমে তিনি স্থানীয় শীতলা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর জনসংযোগ কাজ শুরু করেন। এলাকার মানুষের কী কী সমস্যা আছে তাই নিয়ে সরাসরি তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন। আর তার ফাঁকে তিনি বিদায়ী সাংসদকে কুম্ভকর্ণ বলে কটাক্ষ করেন। 


 তিনি অভিযোগ করেন, বিদায়ী সাংসদ পাঁচ বছরের মধ্যে পৌনে পাঁচ বছর ঘুমিয়ে কাটান। আর বাকি তিন মাস জেগে উঠে বলেন, "আমাকে ভোট দিন। তিনবার সাংসদ থাকাকালীন তিনি যতটা সময় ঘুমিয়েছেন তা কুম্ভকর্ণকেও ছাপিয়ে যায়।" তাঁর আরও অভিযোগ প্রসূনবাবু গত ৫ বছরে একবারও সংসদে হাওড়ার নাম করেননি। এমনকী তাঁকে শহরেও দেখা যায় না। হাওড়ার রাস্তাঘাট থেকে পুর পরিষেবা সবকিছুই মুখ থুবড়ে পড়েছে।  শহর জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হয়েছে। এবার এই লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ যদি তাঁকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হাওড়া শহরে পরিবর্তন আনবেন।


রথীন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপি প্রার্থীকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, "আমি কী কাজ করেছি তা পার্লামেন্টের ওয়েব পোর্টালে পাওয়া যাবে। দরকার হলে ওই পোর্টাল থেকে যাবতীয় তথ্য ডাউনলোড করে তা ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাব। উনি যা অভিযোগ করছেন তার কোনও ভিত্তি নেই। সাঁতরাগাছি বাকসাড়াতে অ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়। রেলের কাছে একটি আন্ডারপাস করে দেওয়ার জন্য বারবার দাবি জানিয়েছি। সেটাও খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।"


তাঁর পাল্টা অভিযোগ, মেয়র থাকাকালীন রথীনবাবু হাওড়া পুরসভার সর্বনাশ করে গেছেন। তিনি বেশিরভাগ সময় কলকাতায় থাকেন। আর ২০১৩ সালের পর থেকে তিনি নিজে হাওড়ার বাসিন্দা এবং ভোটার। কলকাতায় বড় খেলা না থাকলে তিনি হাওড়া ছেড়ে যান না বলে দাবি করেন প্রসূনবাবু। 
  


আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2024: ঝড়ে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির ভোটারদের জন্য বড় ঘোষণা কমিশনের