নয়াদিল্লি: তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ারে বসেননি। বসেছিলেন জানালার ধারে। বরং রবীন্দ্রনাথের চেয়ারে বসেন কংগ্রেসের দুই নেতা জওহরলাল নেহরু ও রাজীব গাঁধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে ছবি দেখিয়ে লোকসভায় পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অধীর চৌধুরীকে পাল্টা আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অসমর্থিত খবর তুলে তা লোকসভায় উল্লেখ করা তাঁর উচিত হয়নি।  


শান্তিনিকেতনে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহার করা চেয়ারে বসেছেন, এতে রবীন্দ্রনাথকে অসম্মান করা হয়েছে। অমিত শাহের বোলপুর সফরের পর এই অভিযোগ তোলে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ কয়েকটি দল। এ নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে জমে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। কিন্তু বিজেপি এই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে। আজ লোকসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শান্তিনিকেতন গিয়েছিলেন, দাবি করেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি সেখানে জন্মেছিলেন! অন্তত লেখাপড়াটা তো করুন! তারপর তিনি গিয়ে কবিগুরুর ব্যবহার করা চেয়ারে বসে পড়েন, তাতে তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে।


কিন্তু জবাবি ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রবীন্দ্রনাথের চেয়ারে তিনি নন, বসেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। রাজীব গাঁধীও একই কাজ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের মানসিকতাই হল মিথ্যে অভিযোগ করা। তাঁর বক্তব্য, তিনি বসেছিলেন জানালার পাশে, যেখানে প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রতিভা পাটিল বসেছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য অতিথিরাও বসেন সেখানে। নিজের বক্তব্যের প্রমাণে লোকসভায় ছবিও দেখান তিনি। লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করে অমিত শাহ আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অসমর্থিত খবর জোগাড় করে তা লোকসভায় দাঁড়িয়ে সত্য বলে দাবি করেছেন অধীর। তা করা তাঁর উচিত হয়নি।